প্রযুক্তির লাগামহীন বিস্তার আর বেখাপ্পা উন্নয়নের অভিঘাতে প্রকৃতির উপাদানগুলো আজ বিপন্ন। প্রকৃতি ও জীবজগতের প্রতি অসচেতন মানুষের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড ও বেড়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বায়োএথিকস বা জীব-নীতিবিদ্যার চর্চা, অনুশীলনের প্রয়োজন রয়েছে। আদতে একুশ শতকের বাস্তবতায় বায়োএথিকস ক্রমশ অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ হয়ে উঠছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বায়োটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রাণী কল্যাণ কি প্রাণী অধিকার এবং পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণা ও অধ্যয়ন করতে গেলেও বায়োএথিকস বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখাটা আবশ্যিক। ইংরেজি ভাষায় বায়োএথিকসের ওপর অসংখ্য গ্রন্থ পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলা ভাষায় এ নিয়ে কোনো বই আজ অব্দি লেখা হয়নি। সেই অভাবই মেটাবে বিধান চন্দ্র দাসের বায়োএথিকস বইটি। এখানে বায়োএথিকসের তত্ত¡কথা যেমন রয়েছে, তেমনি আছে বায়োএথিকস-গবেষণা ও চর্চার কৌতুহলোদ্দীপক ইতিহাসও। বায়োএথিকসের প্রয়োগ কেন একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলবার জন্য জরুরি, সে আলাপও মিলবে। পাঁচশর বেশি উৎস (প্রবন্ধ, বই, থিসিস, অভিধান, প্রতিবেদন, আইন, নীতিমালা, ঘোষণা ইত্যাদি) থেকে তথ্য সংগ্রহ ও সেসবের পর্যালোচনা করে বইটি লেখা হয়েছে। সাহায্য নেওয়া হয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত প্রথিতযশা বায়োএথিসিস্টদের।