পূজারীদের নিয়মিত পূজা এবং যথেষ্ট ভেট না দেয়ায় এক কাত্যায়নী মন্দির লোকচক্ষুর আড়ালে তমসাচ্ছন্ন হয়ে ইতিহাসের পাতায় অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। বহুবছর পরে নবদূর্গার ষষ্ঠরূপ কাত্যায়নী দেবীর নির্দেশে কাপালিক তান্ত্রিক শিবু, সরেন সাধিকা হোমাকে নিয়ে দুর্গম এক জঙ্গল চষে ফেলছে সেই মন্দিরে অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য। শিবু এত বছর পরে কেন ভাঙাচোড়া অতি প্রাচীন স্থাপত্যের সেই গোপন মন্দির খুঁজে ফিরছে? কপালে আগ্রা চক্রের তিলক আঁকা সাধিকা হোমাকে কারা যেন ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে। তার মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরেই অদৃশ্য হয়ে গেল। কোথায় গেল সেই মৃতদেহ? কুন্ডোলিনী শক্তি সম্পন্ন হোমাকে কীভাবে কিছুদিন পরেই পঞ্চমুন্ডীর আসনে আবার পুজো করতে দেখা গেল? অতিপ্রাকৃত রহস্যজনক বিভিন্ন হত্যাকান্ডের পুলিশ কোনো কূলকিনারা না পাওয়ায় আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী সাধু নারায়ণ চ্যাটার্জীকে ডেকে নিয়ে আসা হলো এইসব রহস্য উদঘাটনের জন্য। সাধুজী কি পারবেন অলৌকিক ক্ষমতা বলে এই রহস্যগুলোর আসল কারণ উদ্ধার করতে? অজ্ঞাতে ঘটা হত্যাকান্ডগুলোর গোপন অলৌকিক সত্য আবিষ্কার করতে? এ ইতিহাস কলুষের! এ ইতিহাসই কলুষ!