ভয়ানক সুন্দরী প্রেট্রোসিয়া ঋভুকে বিজ্ঞানী বিপ্লব বন্দী করে আটকে রাখে গবেষণাগারে। বিপ্লব পরিকল্পনা করে সুন্দরী ঋভুর দাঁত, হাত,পায়ের তালু চোখের মণিসহ সম্পূর্ণ শরীর কালো করে দেবে, কারণ সুন্দর ও ঘৃণা করে। শৈশবে দেখেছে পিতাকে প্রবঞ্চনা করে মা অন্য পুরুষের সঙ্গে থাকতে। মায়ের এই নিকৃষ্ট দ্বৈততা মেধাবী বিজ্ঞানী বিপ্লবের মধ্যে এক ধরনের হিংস্র প্রতিশোধ স্পৃহা গড়ে দেয়। বিপ্লবের সহযোগী বায়োলজিক্যাল গ্রাফটিং বিশেষজ্ঞ অরুন চৌধুরী। সমুদ্রের পানি নিয়ে বিশেষ গবেষণার জন্য পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়েছে ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত গবেষণাগারে। গোপনে গবেষণাগারে বন্দী ঋভুর শরীরের চামড়া গ্রাফটিং করে কালো করছে বিপ্লব আর অরুন। মেয়েটি তীব্র যন্ত্রণায় অস্থির। গবেষণাগারের প্রধান ডেভিড আনার্তা মন্টিয়েল প্রতিবাদ করায় বিপ্লব ঝুলন্ত ক্যাপসুলে তাকে আটকে রাখে আর ইলেকট্রিক শক দেয়। অন্যদিকে একমাত্র মেয়ে প্রেট্টোসিয়া ঋভুকে হারিয়ে মা সিলভিয়া শেখর দিশেহারা। মেয়ের প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে খুঁজছে থানায় থানায়। ওদিকে বিজ্ঞানী মন্টিয়েলের স্ত্রী জর্জিয়া গ্লিওমা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। মন্টিয়েল কি ফিরে যেতে পারবে স্ত্রী সন্তানের কাছে? শরীরের চামড়া পরিবর্তনে কিম্ভুত কালো মানুষ সুন্দরী ঋভু কি ফিরতে পারবে মানবিক সমাজের কাছে? মায়ের ছায়ায়? সায়েন্স ফিকশনের জগতে ভিন্ন মাত্রার থ্রিল আর রহস্যÑ রোমাঞ্চ নিয়ে টানটান উত্তেজনায় ঠাসা উপন্যাস সুন্দর মেয়েটি কালো হয়ে যাচ্ছে।