সারোয়ার কবীর বাংলা কথাসাহিত্যের শক্তিমান গল্পকার। প্রথম গল্পেই তাঁর তীক্ষè প্রখর দৃষ্টিপাত সাহিত্যবোদ্ধাদেরকে তাঁর ব্যাপারে উৎসাহিত করে তুলতে সক্ষম হয়। ছিলেন স্পোর্টস রিপোর্টার। আকর্ষণ ছিল মাঠ, স্টেডিয়াম, খেলা ও খেলোয়াড়ের দিক। কিন্তু গৎবাঁধা রিপোর্টার তিনি হয়ে উঠতে পারেননি। সেখানেও তিনি খেলার পেছনে গল্পগুলোর অনুসন্ধান করে রিপোর্টের মেজাজ দিয়েছেন বদলে, এনেছেন ভিন্ন মাত্রা। মিথপ্রবণ জাঁদরেল খেলোয়াড়দেরকে আর পাঁচজন রিপোর্টারের মতো মাঠে ছুটিয়ে নিয়ে গল্প ফাঁদেননি, সমাজ জীবনে দায়িত্ববান মানুষের মতো তাঁদেরকে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তিনি নিজে কোনো খেলোয়াড় নন, জাত লেখক ও শুদ্ধ গল্পকার। এটা পরিস্ফুট গল্প লেখার শুরু থেকেই। গত শতকের সত্তরের দশকের উন্মাতাল সময়ে সারোয়ার কবীরের লেখক যাত্রা। সৃজনশীলতার বিমূর্ত স্বপ্ন এবং ভাঙচুর ধ্বংসপ্রবণ হতাশ তারুণ্যের বিমূঢ়তাÑ পুরো চিত্র তাঁর লেখক চোখে লিপিবদ্ধ। নিপুণতায় জীবনের এই চালচিত্র তিনি ধারণ করেছেন গল্পে। ঢাকার, বিশেষ করে আদি ঢাকার জীবন-যাপনের অভ্যস্থতা তাঁর গল্পে পরিস্ফুট, পাশাপাশি আবহমান বাংলার জনজীবন বাঙ্ময় হয়ে ওঠে তাঁর লেখায়। এজন্যই সারোয়ার কবীরের গল্পগুলো প্রাণবন্ত এবং তারুণ্যে উদ্ভাসিত। আতা সরকার কথাসাহিত্যিক