বাদল এক সহজ সরল কিশোর। যার আবেগ অনুভূতি,চিন্তা চেতনায় বহিঃপ্রকাশ পায় শিশুর সরলতা। তার ভাবনা জুড়েই থাকে পাখি। ছোট ছোট বাচ্চারা খুব ভক্ত। । তারা তাকে পাখি মামা বলে ডাকে । প্রতিবেশিদের কেউ কেউ তাকে হাবলা বলে ডাকে। সকলের এমন হেয় করে কথা বলার কারও বাদলের কোন রাগ ক্ষোভ নেই। বাদল যে পাখিদের নিয়ে বিভোর। পাখিদের নিয়ে তার এ ভাবনাকে বলে পাগলামী। সকলের এমন আচরণে বাদলের মা-বাবা খুব কষ্ট পায়। একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত ছেলেকে এ পথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করে। ছেলে তার দিনে ৩ অ সময়ের পরিবর্তনে পাখিদের নিয়ে ভাবনা বাদলের অস্তিত্ব মিশে যায়। কেউ পাখি আটকে রাখল সে চুপি চুপি খাঁচা খুলে দেয়। আর একাকী মুক্ত আকাশের দিকে নিষ্পলক চেয়ে থেকে প্রাণখোলা হাসে। ধীরে ধীরে বাদল পড়ালেখাও বেশ মনোযোগী হয়। হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় বাদল মারাত্মকভাবে আহত হয়ে দীর্ঘদিন হসপিটালে থাকে। ঘরে বাদলের অনুপস্থিতে তার মা স্ট্যাডি রুম খুজে ছেলের হাতের লেখা অনেকগুলো কাগজ ও পাখিদের ছবি পায়। যে কাগজে লেখা থাকে বাংলাদেশের দুর্লভ ও বিচলিত পাখিদের প্রচলিত নাম, স্থানীয় নাম, ইংরেজি নাম, বৈজ্ঞানিক নাম, পাখিদের পরিবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য। মা সযতনে কাগজগুলো গুছিয়ে রাখে আর ছেলের বদর্শিতাই বার বার অবাক হয়। বাদল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। কিন্তু সে পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। সকল বাচ্চারা তাকে দেখতে এসেছে। মা তার হাতে একটা প্যাকেট দেয়। সে কৌতূহল নিয়ে প্যাকেটটা খুলে দেখে একটা বই। যার নাম 'বাদলের ফুলঝুড়ি। বিস্মিত হয়ে যায় সে। দুচোখ বেয়ে পানি ঝড়ে বইয়ের প্রচ্ছদে বাদলের ওপর। মাকে জড়িয়ে ধরে ফরফর করে কাঁদে। মা কাঁদে আর আঁচল নিয়ে ছেলের মুখ মুছে বলে। | Proud of you. আমি সার্থক। আমি লেখকের মা। এই সকল বাচ্চাদের পাখি মা।