“পৃথু, আমার বড় ছেলে, চাকরি সূত্রে नস অ্যাঞ্জেলস থাকে। আমি থাকি নিউ ইয়র্কে। সপ্তাহান্তে ফোনে ওকে একটা টেক্সট পাঠিয়ে চুপচাপ বসে থাকি 'বাবা কেমন আছো? কল করিও' তারপর কোনো এক সময় বাবা আমার টেক্সট ব্যাক করে, 'তোমাকে আগামী কাল কল করবো। আমি আগামী কালকে ভালোবাসতে শুরু করি।” এক সন্ধ্যায় পৃথু ফোন করে মা'র সঙ্গে গল্প তুলে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান দুর্ঘটনার। ২০১৯-এ বছরের শুরুতেই ইন্দোনেশিয়া এবং ইথিওপিয়ায় দু'টি বিশাল যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট সহ ৩৪৬ জন যাত্রীর প্রাণনাশ হয়। এর পরেই ১০৩ বছরের পুরানো বোয়িং কোম্পানির বাণিজ্যিক বিমান শাখায় অভ্যন্তরীণ তত্ত্বতালাশ শুরু হয়। ঐ দুর্ঘটনার কারণে বোয়িং কোম্পানির বিমান প্রধান কেভিন ম্যাক এলিস্টার পদচ্যুত হয়। শত শত ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ মাটিবন্দি করা হয়। কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি কমপক্ষে আট বিলিয়ন ডলার। স্টক মার্কেটে বোয়িং এর সূচক নেমে যায় দ্রুত। সারা দুনিয়ার বিমান ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মা'র সঙ্গে পৃথু'র কথোপকথন থেকে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। শুধু পৃধু নয়, এমন অনেক জানা-অজানা বিস্ময়কর তথ্য ও বিষয়ের বিশ্লেষণ এই বইয়ের প্রতিপাদ্য। গ্রন্থের লেখক নাসিমা ন অনেক জটিল সূক্ষ্ম ও গভীর বিষয়কে সহজ সাবলীল ভাষায় পরিবেশন করেছেন আন্তরিক স্বতঃস্ফূর্ততায়
দূর পশ্চিমে মার্কিন মুলুকে অভিবাসী নাসিমা খানের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃকবাস ময়মনসিংহ। পড়াশোনা করেছেন মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর। পরে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে আর্লি চাইল্ডহুড অ্যান্ড এলিমেন্টারি এডুকেশনে মাস্টার্স পাস করেন। গত শতাব্দীর ১৯৯০ থেকে '৯৩ পর্যন্ত সাংবাদিকতা করেছেন বার্তা সংস্থা ইউএনবি এবং অধুনালুপ্ত দৈনিক সংবাদপত্র আজকের কাগজে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক-এ পাবলিক এ্যান্ড প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় ব্যাপৃত ১৯৯৬ সাল থেকে। ইতিপূর্বে দুটি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। স্বদেশে ফেরা- মনের নিভৃতে লালিত স্বপ্ন নাসিমা খানের। সীমান্ত ও কাঁটাতারবিহীন বিশ্ব তাঁর প্রিয় দর্শন।