আমেরিকান ভ্রাম্যমান সাংবাদিক কার্ল হফম্যান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে খবর-প্রতিবেদন তৈরি করেন। আফ্রিকার কঙ্গোতে একটা প্রতিবেদন করতে গিয়ে ওখানকার আভ্যন্তরিন প্লেনে চড়ার ভি অভিজ্ঞতা হয়। তারপর ঝোঁকের বশে তৃতীয় বিশ্বের তাবৎ গণ-পরিবহণগুলোর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার করুণ চিত্র তুলে ধরতে পরিবার-পরিজন ফেলে ঘর ছাড়েন। সেই সুবাদে কিউবা থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা হয়ে এশিয়ার কয়েকটা দেশে ঘুরে বেড়ান। সব দেশের সাধারণ জনগণ প্রিয়জনের টানে, জীবিকার সন্ধানে নূন্যতম নিশ্চয়তার কথা ভুলে মারাত্মক বিপজ্জনক এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ বাস-ট্রাক-লঞ্চ- হাওয়াই জাহাজে চড়তে বাধ্য হয়। কার্লও সবার মতো একই যানবাহনে চড়ে এক চরম অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে নিতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান। সদরঘাট থেকে রকেট ইষ্টিমারে করে খুলনায় গিয়ে কয়েকদিন ঘুরেছেন। লঞ্চে করে চাঁদপুরে যাবার পথে ফেরদৌসের সাথে পরিচয় হয়। বাংলাদেশিদের আতিথেয়তায় অভাবনীয়ভাবে মুগ্ধ হয়ে যান। সব অভিজ্ঞতার ফসল একত্র করে লুনাটিক এক্সপ্রেস' বইটায় তুলে ধরেন। আমার অনভিজ্ঞ হাতের অনুবাদে আপনাদের সাথে তাঁর অভিজ্ঞতাটা ভাগ করতে নাম দিয়েছি— খ্যাপার অভিযাত্রা। তাহলে চলুন, কার্ল ভাইয়ের সাথে আমরাও ফেরদৌসের উঠোনে বসে ডাবের পানি পান করতে করতে একটু জিরিয়ে নেই, আভিখোর স্বাদ নেই। পৃথিবীটা একটু অন্য চোখে দেখি, ঘুরে আসি.....