ফ্ল্যাপ: প্রায় আধঘণ্টা যাবৎ ট্রেনে বসে আছে ইরা। আশেপাশে বারবার তাকাচ্ছে, কিন্তু চিরচেনা মুখটা খুঁজে পাচ্ছে না। এত মানুষের ভিড়ে কী করেই বা খুঁজে পাবে, আর যাকে সে খুঁজছে তার তো এখানে আসার কথাও না! ট্রেন ছেড়ে দেবে এমন সময় ইরা জানালা দিয়ে মাথা বের করে আরেকটাবার এদিক সেদিক ফিরে তাকাল। এমন সময় হঠাৎ কেউ একজন তাকে টান দিয়ে ভেতরে নিয়ে এলো। প্রচণ্ড চমকে গিয়ে বলল, “কে আপনি? কী হয়েছে! আমাকে টানছেন কেন এইভাবে?” প্রশ্ন করেই সে কঠিন দৃষ্টিতে আগন্তুকের দিকে তাকিয়ে আছে। এহেন কর্মে মিষ্টি চেহারার ছেলেটা কিঞ্চিৎ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল, “আরে ট্রেন তো ছেড়ে দিয়েছে। আপনি জানালা দিয়ে মাথা বের করে রেখেছেন কেন? বিপদ হতে পারত।” ইরা একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলল, “হলে হবে, তাতে আপনার কী? অতঃপর ইরা মহা বিরক্তিভাব নিয়ে ফের জানালার দিকে মুখ ঘুরাল। ট্রেন ছুটে চলছে তার আপন গতিতে। গন্তব্যে পৌঁছে এরাও কে কোথায় চলে যাবে তা দুজনের কেউই জানে না অথচ এই ক্ষণিকের দেখাতেই ইরাকে অভ্রর ভীষণ ভালো লেগে গেল! আপন করার তাগিদ অনুভব করল বুকের বাঁ পাশটায়। সুখের ব্যথা নিয়ে গুনগুন করল, “এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো!”