কেউ ভালোবাসতে ভালোবাসে আবার কেউ ভালোবাসা দেখাতেও ভালোবাসে। ভালোবাসার এক প্রহর বলতে আমার কাছে তাজা শিউলি ফুলের মতো, যা সকালের এক প্রহরে শুদ্ধতা নিয়ে জন্ম নেয়। তাকে আবার আদর করে হাতে তুলে নিতে হয়, খুবই আলতোভাবে ধরেই তাকে মালায় সুন্দর ভালোবাসাময় রূপ দিতে হয়। আবার সেই মালা প্রেমিক তার প্রেমিকার খোঁপায় গুঁজে দিয়ে ভালোবাসা উপলব্ধি বোঝায়। শিউলি ফুলকে আলতোভাবে না ধরে একটু মুঠ করে ধরলেই ফুলের সৌন্দর্য যেন নিমিষেই শেষ হয়ে যায়, ভালোবাসাও একটু যত্ন করে পরিচালনা না করলে নিমিষেই জং ধরতে ধরতে মরীচিকায় পরিণত হয়। কেউ শূন্য করে ভালোবাসা খুঁজে কেউ আবার পূর্ণ ঘরে ভালোবাসার শূন্যতা সাজায়। ভালোবাসা হলো মহান সৃষ্টিকর্তার অনবদ্য এক অদৃশ্য সৃষ্টিগত অনুভূতি। যে ভালোবাসা মানুষকে বাঁচতে অনুপ্রাণিত করে, জীবনবোধকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। ভালোবাসার এক একটি প্রহর জীবন থেকে দ্রুত চলে যায়, সেই ভালোবাসা আবার ফিরে আসার জন্য সৃষ্টি সম্পর্কের ওপর মানুষের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাখি যেমন তার খাদ্য ও নীড়ের অন্বেষণ করে বেড়ায়, তেমনি মানুষ তার ভালোবাসা নিয়ে জীবনবোধ থেকে সুখে থাকার প্রিয়জনকে সুখে রাখার অন্বেষণে থাকে।
কবি ও লেখিকা এবং একজন বাচিকশিল্পী মুসফেরাতুন পাখি ঢাকা জেলার সাভারে ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাজী আব্দুল কাইয়ুম এবং মাতা হাজী মনোয়ারা কাইয়ুমের তিন সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। সংসার জীবনে তিনি এক মেয়ের এবং এক ছেলের শুকিনী। তার স্বামী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম একজন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি কক্ষে তার প্রতিটি কাজে উৎসাহ প্রদান করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি হাস্যোজ্জল, চঞ্চল, দুরন্তপোনা এবং একজন আত্মবিশ্বাসী নারী। মুসফেরাতুন পাখি ইডেন কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান এ মাস্টার্স করেছেন। পরবর্তীতে আইডিয়াল 'ল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একজন ভালো আবৃত্তিকারও বটে। ভার একটি আবৃত্তি বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যেখানে প্রায় ৯০ টিরও বেশী কবিতা আপলোড করা আছে। Youtube link:https:// youtube.com/@Musfayratun Pakhi তিনি স্বপ্ন দেখেন সুন্দর একটি পৃথিবীর, যেখানে থাকবে না কোন ধনী-গরিব বৈষম্য। যা তিনি তার প্রতিটি কবিতায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ।