আমরা ভালোবাসতে জানি বলেই তো আমরা মানুষ। এই ভালোবাসার আছে কত রূপ, কত রং। তবে সব রূপেই ভালোবাসার অনুভূতি সত্যি বড়ই সুন্দর— এক কথায় অসাধারণ। অনিন্দ্য সুন্দর এই নির্মল অনুভূতি কখনো দু’জন মানুষকেই সিক্ত করে যারা সত্যিই ভীষণ ভাগ্যবান। তবে অনেক সময় কেবল একজনের হৃদয়ে এই অনুভূতি সীমাবদ্ধ থাকে। সেই অনুভূতি কেমন হয় আসলে? এমনই এক স্নিগ্ধ অনুভূতির গভীরতা আমি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আমার এই উপন্যাসে। হয়তো এ কাহিনির বিভিন্ন ধাপে আপনিও মিল খুঁজে পাবেন আপনার নিজের জীবনের সাথে। আপনার নিজস্ব কিছু অনুভূতি হয়তো মিলে যাবে গল্পের কোনো চরিত্রের সাথে। আচ্ছা, বলুন তো, কাউকে মন-প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসলেও কেন তাকে আপন করে পাওয়া যায় না? জীবনের পড়ন্ত বিকেলে যদি কখনো সেই মানুষটাকে আপন করে পাওয়ার সুযোগ আসে, তাকে কি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব? আসলে সময়ের সাথে যেমন মানুষ বদলায় তেমনি ভালোবাসার আবেগেও ঘটে পরিবর্তন। ঠিক তেমনিভাবেই এই গল্পের একেক পরতে ভালোবাসা ও জীবনবোধ ধরা দেয় ভিন্ন রূপে। তবে এই গল্পের কাহিনি কিন্তু কেবল ভালোবাসাতেই থেমে রয়নি। একটি সরল, প্রাণোচ্ছল তরুণী কালপরিক্রমায় কীভাবে নিজ মহিমায় বলীয়ান এক নারী হয়ে ওঠে সেটাও দেখা যাবে এই গল্পে। জীবনের নানা কঠিন আঘাত মোকাবেলা করে সেই মেয়েটির নিজের ভেতরের আপন শক্তি খুঁজে পাওয়ার গল্প জানতে পারবে পাঠকরা। এক জীবনে কারো ভুল সিদ্ধান্ত অপরদিকে কারো অন্ধ ভালোলাগার শেষ পরিণতিও উঠে আসবে এই গল্পে। আমি আশা রাখি এই উপন্যাসের কাহিনী, যা আমার নিজের জীবন থেকে নেয়া, তা আপনাদের হৃদয় ছুয়ে যাবে। আপনাদের ভালোলাগা ও সমর্থনেই রয়েছে আমার লেখা এবং আমার পরিশ্রমের সার্থকতা। বাস্তব জীবনের নিজ অভিজ্ঞতা থেকে যে শিক্ষা এবং উপলব্ধি আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা সেটা ভালোভাবেই গ্রহণ করবেন। পরিশেষে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই এই উপন্যাসের প্রকাশক মো. মনিরুজ্জামান ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মহাকাল সংশ্লিষ্ট সকলকে। পাঠকের মতামত ও ভালবাসার অপেক্ষায়, অন্বিতা ফরিদ