স্বপ্নেরা ভীড় করে গভীর রাতে
কারও ভালবাসার পরশে-
জেগে উঠি কখনও!
চোখের রাডারে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ,
চারিদিকে শুধু ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞের ছবি!
আশা-নিরাশার দোলাচলে
গোটা পৃথিবী। সুকান্তের একটিমাত্র
দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বলে উঠে যদি?
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়াতো চলছেই!
শুধু পরমানু বোমা ফাটার অপেক্ষা।
মানব সভ্যতা কি খাদের কিনারায়?
হায়, বেঁচে থাকার আশা-
কি শুধুই দূরাশা?
চোখ বুজলেই কেন ভেসে আসে
প্রথম প্রেমের ছবি? কে যেন
হাতছানি দিয়ে ডাকে, বলে, যাবি?
টাঙ্গাইলে? তোর প্রিয় ছোট্ট শহরে?
যেখানে তোর জন্ম, বেড়ে উঠা,
দূরন্ত কৈশোর ও দৃপ্ত যৌবন! লাশকাটা
ঘরের কথা মনে আছে? গা ছম্ ছম্ করা
ভূতের ভয়! আকুর টাকুর পাড়ার
গহীন জঙ্গলে কেইসা ঠাকুরের নটকা-
গাছের বাগান, বড়পুকুর পাড়ের মেলা,
চিনির সাজের হাতি, ঘোড়া, বাঘ-ভাল্লুক,
মাছ ও পাখি, মুড়মুড়-কুরকুর করে
খেতাম। মনে পড়ে বিন্দুবাসিনী স্কুল,
নিড়ালার মোড়? মীরের বেতকা, বিশ্বাস বেতকা,
হুজুর ভাসানীর সন্তোষ, বাজিতপুর
ও পাথরাইল কত কাছে ছিলো!
পৃথিবী কেমন ধুষর লাগে,
স্মৃতির এ্যালবামে বাল্যবন্ধুদের মুখ!
নাজাবত, কামাল, মফিজ, বালা, সূর্য্য,
নূরু, রেজা, কাসেম, ভুলু, সেলিম, সুনীল,
রঞ্জু, রওশন, তারেক, মেনু, বাচ্চু, ঠান্ডু,
দেবব্রত, দাউদ খান, আরও কত নাম।
নষ্টালজিয়া পাখি ডেকে কয়-
মনে অছে সেইসব সোনালী সময়?