দু'হাজার উনিশ সালে শুরু হওয়া “কোভিড ১৯ অতিমারি" বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। বাধ্যতামূলক গৃহ অবস্থান এবং তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতার ফলে যেহেতু মানুষের মধ্যে জানার আগ্রহ বেড়েছিল, সেই সুবাদে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে অতিমারির প্রভাব এবং সাধারণ মানুষের করনীয় নিয়ে গণমাধ্যমে বিশদ আলোচনাও হয়েছিল। মেজর ডা. খোশরোজ সামাদকে আমি ওষুধবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে পেয়েছিলাম এই শতাব্দির প্রারম্ভের দিকে এবং সেসময়েই আমি তাঁর সাহিত্যানুরাগের সাথে পরিচিত হই। তাই তিনি যখন আমাকে তাঁর গ্রন্থের ফ্ল্যাপ লেখার অনুরোধ করেন, তখন অনভিজ্ঞতার চাপে বিব্রত হওয়ার পাশাপাশি সম্মানিতও বোধ করি। অতিমারিকালে একজন ওষুধবিজ্ঞানীর কথকতা এবং মা হারানো সন্তানের অসহায়ত্ব গ্রন্থটির মূল উপজীব্য, যদিও শেষে তিনি যুক্ত করেছেন চিকিৎসকের কিছু নির্মোহ স্বাস্থ্য পরামর্শ। বিজ্ঞানের জটিল বিষয়াদি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করার কঠিন কাজটি তিনি দক্ষতার সাথেই করেছেন। অতিমারিকালে বিজ্ঞানের পথ পরিক্রমার নির্মোহ বর্ণনায় ঋদ্ধ এই গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আমার আশাবাদ। চলমান অতিমারি সম্পর্কে গ্রন্থ প্রকাশের সাহসী উদ্যোগের জন্যে লেখককে অভিনন্দন। অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান চেয়ারম্যান ফার্মাকোলজি বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়