মওদূদীবাদ হচ্ছে পাকিস্তানের আবুল আলা মওদূদী প্রবর্তিত একটি মতবাদ। মওদূদী কোন আলিম নন। তিনি লেখাপড়া করেছেন সামান্যই, যা ছিল কোন অফিসের কেরানী হওয়ার পর্যায়ের। জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান লিখেন, “কোন অফিসে কেরানীগিরি করা অথবা কারো অধীনে চাকরি করা ছিল তার প্রকৃতি বিরুদ্ধ। অতএব তার লেখনি শক্তিকেই তিনি একমাত্র অবলম্বন মনে করলেন।” [আব্বাস আলী খান, মাওলানা মওদূদী একটি জীবন একটি ইতিহাস (বাংলা), ঢাকা: প্রকাশনা বিভাগ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, প্রকাশকাল: জুন ২০১১, পৃষ্ঠা: ৩৮] আর এ লেখালেখির কাজ তিনি নিয়ায ফতেহপুরীর কাছ থেকে শিখেছিলেন, যিনি একজন নাস্তিক, আল্লাহ ও আখিরাতে অবিশ্বাসী। [ইনকেশাফাত (উর্দূ), পৃষ্ঠা: ৮] জীবিকা নির্বাহের জন্য লেখালেখির ব্যবসা বেশ কয়েক বছর চালানোর পর খুব সূক্ষ্মভাবে একটা দল গঠন করেন এবং এ দলের নাম রাখেন ‘জামায়াতে ইসলামী’ যা শুনতে খুব শ্রুতিমধুর ও আকর্ষণীয়। কিন্তু তার আকাইদ মুসলমানদের আকাইদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এজন্য জামায়াতে ইসলামী গঠনের পর মওদূদী যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেছিলেন, “জামায়াতে ইসলামীতে প্রবেশের পূর্বে সবাইকে নতুনভাবে কালিমা পড়তে হবে, আর জামায়াতে ইসলামী থেকে ফিরে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মুরতাদ (ধর্মদ্রোহী) হয়ে যাওয়া।” [রোয়েদাদে জামায়াতে ইসলামী (উর্দূ)] জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে মওদূদী বলেন, “আমাদের বিশ্বাস এই যে, এটা একটা দাওয়াত ও কর্মপন্থা যা ব্যতীত অন্যান্য সকল দাওয়াত ও কর্মপন্থা একেবারে ভ্রান্ত।" [তরজমানুল কুরআন (উর্দূ), খণ্ড: ২৬, সংখ্যা ৩, পৃষ্ঠা: ১১১] অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বাকি সব ভুল ও বাতিল। তিনি আরো বলেন, “মানুষের মনে ইসলামের যে রূপরেখা প্রচলিত রয়েছে, তা পুরোপুরি ধ্বংস না করে নতুন নকশা পেশ করা একান্তই মূর্খতা।" [তরজমানুল কুরআন (উর্দূ), খণ্ড: ১৪, সংখ্যা: ২, পৃষ্ঠা: ১৩৪] এজন্য তিনি ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ ধ্বংস করার জন্য একে একে সবগুলোর উপর তার ধারালো কলম দিয়ে আক্রমণ চালান। যার কিছু নমুনা এ পুস্তিকায় আপনারা দেখতে পারবেন।