পরিশীলিত, যুক্তিপূর্ণ তর্কই বিতর্ক। গুছিয়ে, যুক্তিদ্বারা যিনি কথা বলতে পারেন, তিনিই বিতার্কিক। বিতর্ক একটি শিল্প। বিতর্ক জ্ঞানচর্চারও অসাধারণ মাধ্যম। প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা বলতেন। অ্যারিস্টটলের একাডেমিটি ছিলো তেমনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংগীত, অভিনয়, আবৃত্তির মতো বিতর্কে সাফল্যের অন্যতম শর্ত নিখুঁত শারীরিক ভাষা। বিতার্কিকের বাহ্যিক সৌন্দর্য যাই হোক না কেন, নিজেকে রুচিশীল ও যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারাই বিতার্কিকের প্রকৃত সৌন্দর্য। বিতর্ক শুধু শোনার বিষয় নয়, দেখারও বিষয়। তর্কে কোনো সৌন্দর্য নেই। তাই তর্ক শিল্প নয়। অন্যদিকে বিতর্ক একটি শিল্প। রংপুর মিলেনিয়াম স্টার্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী অহর্নিশ হাছনাইন একজন বিতর্ক শিল্পী। কম বয়েসে বিভিন্ন পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিতার্কিকের সুনাম অর্জন করেছেন। সে অভিজ্ঞতার আলোকে ‘বিতর্কের আদ্যাপান্ত’ বইটি লিখেছেন, সেটির পান্ডুলিপি আমি পড়েছি। লেখক বইটিতে নবীন পাঠকদের জন্য সফল বিতর্কের পূর্বশর্ত ও কৌশল তুলে ধরেছেন যা সত্যিকার অর্থেই অভূতপূর্ব। স্পিকিং ইংরেজি ও লিখিত ইংরেজির যে পার্থক্য সেটিও তাঁর সংক্ষিপ্ত লেখায় উঠে এসেছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যারা অংশ নিয়ে থাকেন তাদের জন্যে বইটি গুরুত্বপূর্ণ। লেখিকার জন্য শুভকামনা। বইটির প্রচার, প্রসার ও সফলতা কামনা করছি। রেজাউল করিম মুকুল অমর একুশে বইমেলা ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩