রাতের ট্রেনে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। কমলাপুর রেল স্টেশনে বসে আছি ট্রেনের অপেক্ষায়। অলস সময়ে মোবাইলে এফ এম চ্যানেলগুলোর এমাথা থেকে ওমাথায় এমনিতেই টিউন করছি। এমন সময়ে একটা চ্যানেলের কথায় আটকে গেলাম। একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী এসেছে, তাঁর অপরাধ জীবনের গল্প বলতে। আমি গল্পের মানুষ। চ্যানেলের নাম কিংবা অনুষ্ঠানের নাম এসবে মনোযোগ না দিয়ে, আমি মনোযোগী হলাম সেই গল্পে। অদ্ভুত সেই গল্প। একজন সাধারণ মানুষের একটু একটু করে অপরাধী হয়ে ওঠার গল্প। বিচিত্র সেই অভিজ্ঞতা। ট্রেন যতই ঢাকা থেকে দূরে সরছে, ততই এফএম চ্যানেলের নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতটা আগ্রহ নিয়ে অনেকদিন কোন গল্প শুনেছি বলে মনে পড়েনা। পুরোটা শুনতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও, গল্পটা কেন যেন মাথায় গেঁথে গেল। গল্পের শেষটা কি হতে পারে, এটা জানার খুব আগ্রহ হচ্ছিলো। যেহেতু উপায় নেই, তাই একটু একটু করে এই গল্পটা আমি নিজের মতো করে সাজাতে চেয়েছি। সেজন্য চরিত্রগুলোর নাম, ঠিকানা অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে হয়েছে। মনে রাখতে হবে এটা ইতিহাস কেন্দ্রিক কোন উপন্যাস না। এটা একজন অপরাধীর জীবনের গল্প। মূল গল্পে প্রচুর যৌনতার বিষয় থাকলেও, চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব যৌনতা বর্জন করে সাহিত্যানুরূপ দেয়ার। তবুও গল্পের প্রয়োজনে কিছু অংশ হয়তো রয়ে গিয়েছে। যারা বইটি পড়বেন, তারা এই বিষয়টি মাথায় রেখে, বাকীটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশি কথা সাহিত্যিক। পুরো নাম মোঃ তৌফিক ইবনে নওশাদ (মিথুন)। তবে তৌফিক মিথুন নামেই অধিক পরিচিত। ২৫ জুলাই জন্ম নেয়া এই কথা সাহিত্যিকের জন্মস্থান ফরিদপুর হলেও, শৈশব আর কৈশোর কেটেছে পাহাড়-সমুদ্রের মিলনস্থল চট্টগ্রামে। লেখালেখির শুরু ছোট বেলা থেকেই। তবে প্রথম গ্রন্থাকারে আবির্ভাব ২০১৯ বইমেলায় পরিবার পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত ছোট গল্পের বই ‘প্রেত’ দিয়ে। 'প্রেত' এর অভাবনীয় পাঠকপ্রিয়তায় আর পেছনে তাকাতে হয়নি… একের পর এক লিখে যাচ্ছেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস।