বোপার্জিত দক্ষতায়, নেতৃত্বের মোহনীয় কৃতিত্বে, ব্যক্তিত্বের দীপ্তিতে, সাহসে, সংগ্রামে ও ত্যাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) ব্রিটিশ-বাংলার তথা ভারতীয় উপমহাদেশে অনন্য রাজনৈতিক নেতার মর্যাদায় আসীন। আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ার ভাগ্য-নির্ধারক তিনজন নেতার একজন রূপে তিনি ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮) এবং পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (১৮৭৬-১৯৪৮)-এর সঙ্গে তুলনীয়। ইতিহাসের বিচারে বঙ্গবন্ধু কৃতিত্বের বিশিষ্টতায় ও সাফল্যের গৌরবে শিখরস্পর্শী। পুরো উপমহাদেশ আচ্ছন্নকারী দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দর্শনের মোকাবেলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ও বিজয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। অখন্ড ভারত এবং দ্বিজাতিতত্ত্বে, উভয়বিদ উগ্র সাম্প্রদায়িক-জাতীয়তাবাদী স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক চৈতন্যে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন তিনি। ইতিহাসের বিভিন্ন কালপর্বে যে বাঙালি জাতি ধর্মান্ধতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের রক্তাক্ত স্রোতে ভেসে ক্ষত-বিভক্ত ও বিভাজিত হয়েছিল এবং ভারত ও পাকিস্তান কাঠামোর প্রান্তিক পরিসরে সামান্য একটি স্থান পেয়েছিল, সেই বাঙালিসত্তার নিজস্ব স্বদেশ-বাংলাদেশ, আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচিতির রূপকার বঙ্গবন্ধু: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যা এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক-রাজনৈতিক-সমাজতাত্তি¡ক বিশ্লেষণে সপ্রমাণিত।
ড. মাহফুজ পারভেজ। পিতা: ডা. এ.এ, মাজহারুল হক, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মাতা: নূরজাহান বেগম, সমাজসেবী। জন্ম: ৮ মার্চ ১৯৬৬, কিশোরগঞ্জ শহর। পড়াশোনা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচ,ডি)। পেশা: অধ্যাপনা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। লেখালেখি, গবেষণা ও সাহিত্য সাধনায় ব্রতী। প্রকাশিত গ্রন্থ কুড়িটি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- গবেষণা-প্রবন্ধ: বিদ্রোহী পার্বত্য চট্টগ্রাম ও শান্তিচুক্তি, দারাশিকোহ: মুঘল ইতিহাসের ট্র্যাজিক হিরো। দ্বিশত জন্মবর্ষে বিদ্যাসাগর। উপন্যাস: পার্টিশনস, নীল উড়াল। ভ্রমণ: রক্তাক্ত নৈসর্গিক নেপালে। গল্প: ইতিহাসবিদ, ন্যানো ভালোবাসা ও অন্যান্য গল্প। কবিতা: মানব বংশের অলংকার, আমার সামনে নেই মহুয়ার বন, গন্ধর্বের অভিশাপ।