ভৌতিক প্রাসাদ তিতলীরা অনেক বছর পর নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছে। তাদের নানার বাড়ি গ্রামে। নানাভাই, সৈয়দ জুলফিকার সাহেবের এই গ্রামে খুব দাপট ছিল। তাকে গ্রামের লোকজন সম্মান করত। অবশ্য সম্মান পাওয়ার মতো ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গ্রামের সবার বিপদে-আপদে এগিয়ে আসতেন তিনি। একসময় তিনি পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তখন ঢাকায় থাকতেন। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তিতলীর মা হালিমা বেগম বোনদের মধ্যে সবার ছোট। তিতলীর মা-মামা-খালারা সবাই উচ্চশিক্ষিত। দুই মামা আমেরিকায় আর খালারা থাকেন কানাডায়। তিতলী ঢাকার ইংলিশ মিডিয়া ে লেভেল সেভেন আর তার ভাই অর্ণব পড়ে ফাইতে। অসম্ভব চটপটে তিতলী। তার তুলনায় অর্ণব অনেকটাই বলা যায় শান্ত স্বভাবের। সে ভিডিও গেম আর কার্টুন দেখে অবসর সময় কাটায়। তিতলী ছবি আঁকতে পছন্দ করে আর গান শুনতে ভালোবাসে। অবসরে ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র এবং কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানায়। তার সেই বানানো জিনিস দিয়ে নিজের পড়ার রুম সাজায় এবং বন্ধুদেরও গিফট দেয়। সে সব সময় হাসিখুশি থাকে। স্কুলে বান্ধবীদের সঙ্গে তার খুবই খাতির। সবাই তাকে ভালোবাসে। লেখাপড়ায়ও সে অনেক ভালো। প্রতিবার বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো করে।