মানুষের সাথে শয়তানের শত্রুতা বেশ পুরোনো, বলা যায় যেদিন থেকে মানবজীবনের সূচনা সেদিন থেকেই শয়তান মানুষের শত্রু। তাইতো শয়তানকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রুরূপেই গ্রহণ করো। সে তার দলবলকে আহ্বান করে যেন তারা জাহান্নামি হয়।’ (সুরা ফাতির, ৬) বুদ্ধিমান তো সে, যে তার শত্রু সম্পর্কে ভলোভাবে জানে এবং জানে তাকে নিয়ে তার শত্রুর চক্রান্ত ও পরিকল্পনা কী। সুতরাং শয়তান যেহেতু আমাদের শত্রু, তাই আমাদেরকে শয়তান সম্পর্কে ভলোভবে জানতে হবে এবং জানতে হবে আমাদেরকে নিয়ে তার চক্রান্ত ও পরিকল্পনা কী । সাথে সাথে এটাও জানতে হবে যে, আমরা কীভাবে শয়তানের চক্রান্তের ফাঁদ এড়িয়ে সিরাতে মুসতাকিমের ওপর চলে জান্নাতে যেতে পারি। শয়তান তোমার শত্রু’ বইটি মূলত আরবের প্রসিদ্ধ দায়ি শাইখ খালিদ আর—রাশিদের লেকচার হুওয়া আদুউউকা’—এর বাংলা রূপান্তর। শাইখ এতে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বয়ান করেছেন শয়তানের পরিচয়, শয়তানের চক্রান্ত, শয়তান কীভাবে মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং শয়তানের চক্রান্ত ও তার ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে। ইনশাআল্লাহ শয়তান ও তার চক্রান্ত সম্পর্কে জেনে তা থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বইটি সাহায্য করবে।
শাইখ খালিদ আর-রাশিদ—দাঈ। সৌদি আরবের পূর্ব-প্রদেশের শহর আল-খোবারে ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মহল্লার মসজিদে হিফজুল কুরআনের হালকায় বসতেন। শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল আকর্ষণ। তবে স্বপ্ন ছিল তিনি সামরিক অফিসার হবেন। ক্রিমিনোলজি নিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য তিনি আমেরিকা চলে যান। পড়াশোনা শেষে তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন এবং ফুটবল খেলতে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। ১৪১২ হিজরির রমাজান মায়ের কথায় তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি দীনি ইলম অর্জনে মনোনিবেশ করেন। এবং আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে গিয়ে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০৫ সালে ডেনমার্কের একটি পত্রিকা প্রিয় নবি সা.-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করলে তিনি প্রতিবাদী হন এবং গ্রেপ্তারি বরণ করেন।