আমার জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করছি। অভিজ্ঞতাগুলোর বেশির ভাগই জড়িয়ে আছে আমার প্রিয় শিক্ষার্থী আর সন্তানকে ঘিরে, যা পরবর্তীতে আমার জীবন দর্শনকে প্রভাবিত করেছে। পাঠকদের সাথে আমার এ অভিজ্ঞতা আর গল্পগুলো শেয়ারের কারণ হলো, আমার প্রিয় সন্তান আর ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা। জীবনে কিভাবে ধ্বংসস্তূপের মাঝে থেকে চেষ্টা, শ্রম, অধ্যবসায় আর ধৈর্য্যের মাধ্যমে এগিয়ে চলা যায়, তাই মূলত এই বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের একেকটি অভিজ্ঞতা যে আমাদের সামনে একেকটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়, সেই বিষয়টি এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি চিঠির আকারে কথোপকথনের ছলে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক, শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক লৌকিকতা, আত্মহত্যা, ডিপ্রেশন, ভ্রান্ত ধারণাসহ বিভিন্ন বিষয়কে উপস্থাপন করতে, যা পাঠকের কাছে সহজেই বোধগম্য হবে। একই সাথে লেখাগুলো তাদের চিন্তার পরিধিকে পরিব্যাপ্ত করবে বলে আশা রাখছি। পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবে মান এবং হুশ সহকারে কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমি আমার এ গ্রন্থে আমার ছেলে রুওয়াদের বিভিন্ন কথোপকথন সংযোজিত করেছে। আমি দেখাতে চেষ্টা করেছি জানার ইচ্ছা থাকলে বয়সের ব্যবধান বিশেষ কোন পার্থক্য তৈরি করতে পারে না। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রাণপ্রিয় সন্তান, প্রিয় তাউসিফ, রনি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে, যাদের অনুপ্রেরণা ব্যতীত একটি বই লেখার মত দুঃসাহস আমার কখনই হতো না। আমি আশা করছি আমার এই বইটি নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে সহায়তা করবে। - রুদমিলা মাহ্বুব