‘সাম্যের স্বপ্ন’ সাম্যবাদী আদর্শের রাজনীতি আশ্রিত রোমাঞ্চ উপন্যাস, পলিটিক্যাল থ্রিলার। উপন্যাসের শরীর নির্মিত হয়েছে প্রকৃতির রঙে ও প্রেমের আল্পনায়। নেপালের পাহাড়ি নদীর খরস্রোতের ঘূর্ণাবর্তে র্যাফটিং, প্যাসিফিক ও দক্ষিণ চীনের মধ্যবর্তী দ্বীপপুঞ্জ, এবং উত্তরমেরুর বরফবৃক্ষের বর্ণনায় চেনা প্রকৃতিকে অন্যচোখে দেখা। প্রেমের প্রকাশ মধুবন্তি রাঁগে, অনুচ্চারিত মুগ্ধতায়, কিংবা ইনুইট আদিবাসীর প্রতি বিমূর্ত ভালোবাসায়। কাহিনী আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের পটভূমিতে, যার একটি বড় অংশ সশস্ত্র বিপ্লবের আখ্যান। নেপালে নারী গেরিলা ও ফিলিপিন্সে অস্ত্র সরবারাহের গল্প। বিশ^ বিপ্লবের লক্ষ্যে বিকল্প চিন্তা, যাদের ধারণা, বন্দুকের নল নয়, ল্যাপটপস্ক্রিন থেকেই বেরিয়ে আসবে রাজনৈতিক ক্ষমতা। পশ্চিমা যুদ্ধবাজদের আধিপত্যে যে বৈশ্বিক ব্যবস্থা তা রূপান্তর হবে তথ্য ও জ্ঞানের ক্ষমতায়। ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে রেইকজাভিকে, কাজ চলছে প্রকাশ্য ও গোপনে; বাংলাদেশে, ইউরোপে এবং আমেরিকায়। এই উপন্যাসের মানুষেরা স্বপ্নচারী। জীবনবোধ ও আবেগপ্রবণতায় ভিন্ন হলেও লালন করেন একই সমাজস্বপ্ন; সকল মানুষের জন্য সাম্য ও শান্তির সমাজ। আত্মসর্বস্ব ভোগবাদী স্বার্থপর লোভের বদলে এদের রয়েছে শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজের জন্য আত্মদানের অঙ্গীকার ও সাহস। ঘটনা প্রবাহের সূচনা বাংলাদেশে, সাম্যবাদী ধারার পুনঃজন্মের প্রত্যাশায়। এলিট বাহিনীর হাতে ক্রসফায়ারে নিহত হন প্রবীণ সংগঠক। এরপর কাহিনীর বিস্তার নানামুখী, নানাদেশে, বিচিত্রপথে; গণজ্ঞানের অন্বেষণে, ঐক্যের সংগ্রামে, জীবন ও শিল্পের সত্যানুসন্ধানে এবং স্বাধীন ভালোবাসায়।