পৃথিবীর বুকে করোনা মহামারীর ঢেউ আঘাত হানলে অন্য সব দেশের মত এদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনেও ছন্দপতন ঘটলো। নিজের অজান্তেই কিছু মানুষ এই পতনকে ঘিরে পরস্পরের সাথে জড়িয়ে গেল। অতঃপর তাদের ভবিষ্যতও যেন বাঁধা পড়লো এক সুতোয়! পাগলাপীর নিবাসী কৃষি গবেষক জালাল উদ্দীনের পরম আরাধ্য গবেষণার একদম শেষ ধাপে এসে একটা ফ্যাঁকড়া বাঁধলো। ফ্যাঁকড়াটা থেকে মুক্তি পেতে তিনি আঁটলেন এক ভয়ানক পরিকল্পনা। তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমিন সর্দারের জীবনে এলো আমূল পরিবর্তন। ওদিকে, নবীনগরে করোনার প্রকোপ দেখা দিলে খুব দ্রুত বদলাতে থাকলো সেখানকার প্রেক্ষাপট। দারিদ্র, নিপীড়ন, স্ট্রিট ফাইট, গ্যাং ওয়ার ধীরে ধীরে মেলে দিল তাদের ভয়াল থাবা। পার্ট-টাইম কবি, ফুল-টাইম সাব-এডিটর চয়ন মাহমুদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো। সেখানে অসুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে সে খুলে বসলো করোনামচা। লকডাউন শুরু হলে একটা বই হয়ে উঠলো তিতলির অতি আপন সঙ্গী। কী আছে বইটাতে? তিতলির মত আরও কিছু মানুষের রোমাঞ্চকর জীবনের গল্প শোনাবে ‘করোনামচা এবং বিচ্ছিন্ন কয়েকজন’। তাদের সকলের জীবনের এই রোলার-কোস্টার রাইডে পাঠকদের জানাই স্বাগতম!