আত্মরতি গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্পই ভিন্ন, মানুষের কোমল হৃদয়কে কোনো না কোনোভাবে নাড়িয়ে যাবে। মনস্তাত্ত্বিক অপরাধবোধ, মনোজাগতিক দ্বন্দ্ব, দাম্পত্য জীবন, প্রেম, মান-অভিমান, ক্ষমতার মোহ, নানা সম্পর্কের দ্বন্দ্ব, করোনাকালে মৃত্যুভয়ের বেদনাদায়ক চিত্র এবং মানুষের নানা অপূর্ণতা গল্পের চরিত্রে ফুটে উঠেছে। চরিত্রগুলো গল্পের হলেও আমাদের চারপাশে তাদের অবস্থান। চোখ মেললেই দেখতে পাওয়া যায়। গল্পের কাহিনিবয়ানে বৈচিত্র্যসন্ধানে সৃষ্টিশীলতার অভিনবত্ব রয়েছে। গল্পগুলোর মধ্যে সমাজ সচেতনতার পরিচয় পাওয়া যায়। জীবনের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতাই উঠে এসেছে সমকালীন বাস্তবতার রূঢ় চিত্র। সময়ের চলমান স্রোতকে ধরে রাখার মাধ্যমে স্বতন্ত্র হওয়ার চেষ্টা রয়েছে। গল্পে জয় ও সাহসের স্বপ্ন প্রচলিত সমাজ-কাঠামো সম্পর্কে অনাস্থা ও ঘৃণার সঞ্চার করে; এর পাশাপাশি সূক্ষ্ম আশাবাদেরও বিকাশ ঘটিয়েছে নতুন সমাজ-কাঠামো নির্মাণের ব্যাপারে। গল্পের পটভূমি ও কাহিনির সঙ্গে সঙ্গত সাধন করে তার সুপ্রযোজ্য ভাষা ব্যবহার। উপমা ও চিত্রকল্পের প্রয়োগ গল্পগুলোকে পরিণত করেছেন। আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার ও চরিত্রগুলোর সংলাপ প্রয়োগে লেখকের দক্ষতা অপরিসীম।
জন্ম ২৯ বৈশাখ, ১২ মে ১৯৮৪, সঙ্গলাবার। বাবা নারায়ণ সরকার, মা শোভা সরকার। পিতৃভূমি সিরাজগঞ্জ উপজেলার সরাইদহ গ্রামে। দাদু, মা আর বাবার কাছ থেশে অ আ, ক খ গ, a b c d এবং ১ ২ ৩ ৪ ৫ ..... শেখা। ক্লাস নাইন থেকে ডেবিট-ক্রেডিট পড়তে পড়তে হিসাবজ্ঞিান অনার্স-মাস্টার্স। নিজের নামটা পত্রিকায় পাতায় ছাপার অক্ষরে দেখার লোভেই ছোটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু। লেখালেখির নেশা থেকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। একটি জাতীয় দৈনিকে সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত আছে। নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক, ছোটকাগজ, অনলাইন। প্রথম গল্পের বই ‘স্কুল ছুটির পর’ ২০১২ সালের বইমেলায় প্রকাশ হলে ব্যাপক সাড়া পায়। প্রথম বই হিসেবে যতটুকু সাফল্য পাওয়া দরকার পেয়েছিল তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে ৩৭টি।