শাহেদ কায়েস বাঁক ফেরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তার কাব্যপাঠককে। চিন্তার নতুন বিন্যাসে তুখোড়, মেধাবী এই কবি একজন প্রকৌশলী। কিন্তু তার এই প্রকৌশল বিদ্যাকে তিনি কবিতার শরীরে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করেন অবলীলায়, যা আমাদের সংক্রমণ করে সংগতি ও অসংগতিকে। ঘুরে দাঁড়ান, শিরদাঁড়া সোজা করে। সমাজের দুঃসহ অসংগতির বিরুদ্ধে, মিলিত হন প্রতিবাদের উত্তাল জমিনে। আমার সময়ে এই প্রতিবাদী কবি আক্রান্ত হন মুহূর্তে মুহূর্তে। তিনি যে পথে হাঁটেন, সে পথে সবাই হাঁটতে পারে না । সে পথ সহজ কোনো পথ নয়। অথচ কী অদ্ভুত, সবার জন্যই শাহেদ মগ্ন হন প্রতিবাদের মিছিলে। জীবনকে বাজি রেখে নির্ভীক, আপসহীন এক উজ্জ্বল শাহেদ কায়েস আমাদের অন্ধকারে আলো দেন। যেমন করে তিনি লিখতে পারেন, আলোকিত সেই চোখ জীবন পাঠশালার তুখোড় ছাত্র/মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত আব্বা আজীবন আপসহীন প্রাণ বিরুদ্ধ হাওয়ার...। যেমন করে বৈষম্যমূলক আর অসংগতিতে ঠাসা, শোষকের তীব্র আক্রোশের মুখে তিনি তুলে দেন প্রতিবাদের ভাষা শোষিতের পক্ষে, এই সমাজে। তারপর কবি চূড়ায় হারানো কণ্ঠ খুঁজতে বের হন, যেখানে রয়েছে আমাদের গৌরব, যেখানে রয়েছে আমাদের দারুণ বৈভব, যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি, অথবা হারাতে হয়েছে কোনো অদৃশ্য ইঙ্গিতে। সেই গৌরব পুনরুদ্ধারের স্পৃহা জাগে কবির। - আলফ্রেড খোকন
জন্ম ঢাকায়, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭০। পৈতৃক নিবাস সোনারগাঁ। কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক, হিউম্যান রাইটস-এ স্নাতকোত্তর। পেশা ফ্রি-ল্যান্স গবেষক। মুক্ত-চিন্তক, সংস্কৃতিকর্মী, কাজ করেন মানুষের অধিকার নিয়ে। শখ ভ্রমণ, সুযোগ পেলেই ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশ। . কাব্যগ্রন্থ: বাঁক ফেরার অভিজ্ঞতা (দোয়েল প্রকাশনী, ১৯৯৯), চূড়ায় হারানো কণ্ঠ (মঙ্গলসন্ধ্যা, ২০০৩), মায়াদ্বীপ (ঐতিহ্য, ২০১৫), কৃষক ও কবির সেমিনার (অভিযান, ২০২০), সহজিয়া প্রেমের কবিতা (অভিযান, ২০২১), নৈরাজ্যবাদী হাওয়া (চৈতন্য, ২০২৩), স্বনির্বাচিত কবিতা (ভাষাচিত্র, ২০২৩), স্বনির্বাচিত কবিতা (আগরতলা সংস্করণ; নীহারিকা, ২০২৩), স্বনির্বাচিত কবিতা (কলকাতা সংস্করণ; কবিতা আশ্রম, ২০২৩)। . অন্যান্য গ্রন্থ: মঙ্গলসন্ধ্যা প্রেমের কবিতা (সম্পাদিত গ্রন্থ; ধ্রুবপদ, ২০১৭); এশিয়ার বারটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি (ইংরেজি গ্রন্থ, মে এইটিন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, দক্ষিণ কোরিয়া, ২০১৫); বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম স্মরণগ্রন্থ (ঐতিহ্য, ২০২০)। . পুরস্কার ও সম্মাননা: চন্দ্রাবতী সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার (কবিতায়, ২০২১), শালুক সম্মাননা (২০১৯)।