সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়তে এখনো অনেক দেরি। রোদের তেজ একটু কমেছে, তবুও মাঠের বালুগুলো উত্তপ্ত। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট, চোখে কালো চশমা। আজ সমির একা শিকারে বের হয়েছে। এই পথে সূর্য ডুবার সাথে সাথে দুজন দুবস্তা গাঁজা নিয়ে যাবে নৌ-ঘাটের দিকে। যে তাদের কাছে পাইকারিতে গাঁজা বিক্রি করেছে সে এই তথ্য দিয়েছে সমিরকে। সমির মাল আটকিয়ে টাকা চাইবে, টাকা দিলে মাল ছেড়ে দিবে। নয়তো মাল রেখে দেবে এবং যে তাকে তথ্য দিয়েছে তাকে দিয়ে দিবে। সে মালের অর্ধেক টাকা পাবে। সমির বার বার সূর্যের দিকে তাকাচ্ছে। যে তথ্য দিয়েছিল তার নাম সিদ্দিক। সে সিদ্দিককে আবার ফোন দিয়ে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করল। সিদ্দিক জোর গলায় বলল, ভাই, আমার কাছ থেকে মাল কিনে নিয়েছে অনেকক্ষণ আগে। এই পথেই আছে, অপেক্ষা করুন একটু। সমির শান্ত হয়ে কালো চশমা খুলে সুনসান বালুচরের দিকে তাকাল, কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল। তার মাথায় এখন টাকার চিন্তা। ঐ লোকগুলোকে ভয় দেখাবে, বিশ হাজার টাকা চাইবে। যা পাবে তার তিন ভাগ তাঁর থাকবে, আর একভাগ পাবে সিদ্দিক। কোমরে গোঁজা পিস্তলটি চেক করল। সে গুলি ছুড়বে না। গুলির ট্রিগারে সে আঙ্গুল রাখবে না। শুধু ভয় দেখাবে। একবার একটি কাজ করতে গিয়ে পিস্তলের ট্রিগারে আঙ্গুল লাগানো ছিল, চাপ পড়ে গুলি বের হয়ে গিয়েছিল। একজন লোকের হাতে গুলি লেগেছিল। তারপর থেকে সে সাবধান হয়ে গেছে।।