নারী নিরাপদ কোথায় আইয়ামে জাহিলাতের চাইতে কম কি এই সভ্য সমাজ, শিশু,কিশোরী,যুবতী আর মধ্য বয়সী নারীও লাঞ্চিত আজ। কোথায় তাদের নিরাপত্তা আছে বলো দেখি আমায় তোমরা, পথে-ঘাটে,শপিংমলে,স্কুল- কলেজ সবখানে নির্যাতিত তারা। নিজ মহল্লায় প্রতিবেশী চাচা বা ভাইয়ের কাছে নয় নিরাপদ, বাড়ির বাহিরে বের হলেই তাদের লোলুপ দৃষ্টির অবরোধ। রাস্তায় বের হয়ে চলার পথেও মানুষ রুপি জালিমদের হিংস্রতা, ইভটিজিং করে ক্ষান্ত হয় না শুধু চলে ইজ্জত লোটার তৎপরতা। স্কুল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আছে কি নিরাপদ? মুখোশধারী অসাধু শিক্ষকদের কামসত্ত্ব কুনজরে আছে বিপদ। বাজারে,শপিংমলে,বাসে কিংবা ট্রেনে নারী নিরাপদ নয়, সুযোগ পেলেই অসহায় বোনটির ইজ্জতে আঘাত করা হয়। কোন নিরাপত্তা নাই নারীর কর্মস্থলে বা অফিস-আদালতে, দানবরূপি বসের কুনজর সর্বদা রয়েছে লেগেই তাতে। এ কেমন সভ্য সমাজ পাচ্ছে না নারী তার সম্ভ্রমের নিরাপত্তা, বাজপাখির মতো ছো মেরে ইজ্জত লুটে হচ্ছে লাপাত্তা। আজ কেন এতো মা বোন হচ্ছে বিবস্ত্র,হচ্ছে ধর্ষিত বলো? পাচ্ছে না কেন নিরাপদ এই সমাজের নারী জাতিগুলো? ওরে মানবরূপি হিংস্র পশু ওরে দানব,ধ্বংস হবি তোরা, ফেরেস্তার বেশ ধরে মা বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলিস যারা। মানুষ মানুষের জন্য সদা প্রস্তুত থাকব মোরা রক্ত দানে,অন্নদানে, মরতে দিবোনা কোন মানবকে খাদ্য কিংবা রক্ত বিনে। সকলে এগিয়ে আসুন মানুষের জীবন বাঁচাতে, কি হবে পঞ্জীভূত অর্থ ও রক্ত জমে রেখে দেহেতে? ওরে মানব নিজেকে উৎসর্গ করো সবে দেশ ও দশের সেবাতে, দেখবে মনটা সবার ভরে উঠবে শত-সহস্র আনন্দ ও আত্মতৃপ্তিতে। এতো ধন,এতো অর্থ আর বিশাল দেহ নিয়ে লাভ কি তাতে?যদি নাইবা লাগে সেইগুলো মানবের অসহায়ত্ব, দুর্দিনে এবং অন্তিম কালেতে? সকল বিভেদ ভুলে মানুষে-মানুষে মিলে-মিশে হবো একাকার, ভাববো না কেউ কে আপন কে পর,কে বা কার? মানবতার সেবায় এগিয়ে আসো মানব জাতি, মানুষ যে সবকিছুর মূলে মানবসেবাতেই পাবে খ্যাতি।
শীতের সকাল" এলো বাংলায় হাড় কাঁপুনি শীত কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে, ছোট-বড়,বৃদ্ধা সবে কাঁপে থড় থড় শাল জড়িয়ে। প্রভাতে সোনালী রোদের অপেক্ষায় হাতে নিয়ে খেজুর রসে মুড়ি, সূর্যটা কখন উঁকি দিবে উষ্ণতায় দেহে বয়বে প্রশান্তির ঝড়ি। মিষ্টি রোদ্দুর যখন শরীরে উষ্ণতার আদরে হাত বুলিয়ে দেয়, শীতের সকালটা তখনই যেন মধুময় হয়ে ওঠে ভাই। শীতের নানা ধরনের পিঠাপুলি আর গাছীদের খেজুর রসে তৃপ্তি পাই, নানা স্বাদের পিঠা পায়েশ নানী-দাদিরা বানায়। শীতের সকালে গ্রাম বাংলার মন মাতানো অপরূপ শোভায়, সকলের দুই নয়নখানি যেন জুড়িয়ে যায়।
উদীয়মান তরুণ লেখক কবি মোঃ সাফিউল ইসলামের লেখা কাব্যগ্রন্থ "উন্নয়ন মাতা শেখ হাসিনা" ও "বাঙ্গালী জাতির পিতা" বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে। বই দুটিতে চমৎকার রচনাশৈলী পাঠককে মুগ্ধ করবে।