ত্রিশ বছর আগে জন পুলারের জীবনটা ওলটপালট হয়ে যায়, যখন ফোর্ট মনরো থেকে তার মা জ্যাকি আচমকাই উধাও হয়ে যান। কিন্তু আচানক একটা চিঠির উপর ভিত্তি করে 'জ্যাকি মিসিং কেস' রিওপেন করা হয়। আর কেসের প্রাইমারি সাসপেক্ট হিসেবে সন্দেহ করা হয় জন পুলারের বাবা লিজেন্ডারি মিলিটারি থ্রি স্টার হোল্ডার জন পুলার সিনিয়রকে, যিনি ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত...এবং দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের চার দেয়ালের ভেতর বন্দী! এদিকে খুনের দায়ে দশ বছর ধরে প্রতিশোধের আগুন বুকে নিয়ে জেল খাটছে পল রজার্স । তার এই অবস্থার জন্য দায়ী সবাইকে নিজের হাতে খুন করবে সে। কুড়ি বছর আগে ফোর্ট মনরোর এক রহস্যময় ফ্যাসিলিটি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল সেও। ঠিক কী হয়েছিল ফোর্ট মনরোতে? জন পুলার কি পারবে বড় ভাই এয়ারফোর্স মেজর রবার্ট আর শ্যাডো ইউএস ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট ভেরোনিকা নক্সকে নিয়ে মায়ের নিখোঁজ রহস্যের সমাধান করতে? ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনরূপী পল রজার্সের সঙ্গে যুদ্ধে পারবে কি জয়ী হতে, নাকি তার কপালেও নাচছে মায়েরই মতো গুম হয়ে যাওয়ার দুর্ভাগ্য? ডেভিড বালডাচির জন পুলার সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ খণ্ড 'নো ম্যানস ল্যান্ড' এর অন্ধকার জগতে আপনাকে স্বাগতম।
ডেভিড বালডাচি ১৯৬০ সালে আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর আইনের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে নয় বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। এপর্যন্ত ৪০টি থ্রিলার উপন্যাস লিখেছেন তিনি; যা ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং সারা পৃথিবী ব্যাপী প্রায় ১১০ মিলিয়ন কপি বই বিক্রি হয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস 'অ্যাবসলিউট পাওয়ার' এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, এ বইয়ের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে হলিউডে মুভি বানানো হয়। 'নো ম্যান'স ল্যান্ড' লেখকের জন পুলার সিরিজের চতুর্থ উপন্যাস। সিরিজের প্রথম উপন্যাস 'জিরো ডে'। ডেভিড বালডাচি বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় বসবাস করছেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক সাহায্য সংস্থার সাথে জড়িত আছেন। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কাজ করে যাওয়া 'উইশ ইউ ওয়েল ফাউন্ডেশন' এর কো-ফাউন্ডার তিনি।