হাসি-ঠাট্টা, নাটকীয়তা, রূপকথার উত্তেজনা, কী নেই এই বইতে? তবে সবচেয়ে জরুরি যে জিনিসটা আছে, সেটা হলো একটা গভীর অন্তর্দৃষ্টি। সববয়সি মানুষের জন্য মিষ্টি এবং বৈচিত্র্যময় একটা গল্প!’ – পাবলিশার্স উইকলি ‘টেনে ধরে রাখার মতো গল্প আর একটা অভিজাত ভঙ্গি তো আছেই, পাশাপাশি এই উপন্যাসে আছে নিজের হৃদয়ের কথা শোনার আকুল আবেদন।’ – বুকলিস্ট ‘কী অসাধারণ গল্প! নিজের গন্তব্যে পৌঁছানোর কী জাদুময় এক অভিজ্ঞতা! যারাই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদেরকে আমি দি আলকেমিস্ট বইটা পড়তে বলব– আজকেই পড়তে বলব।’ – এন্থনি রবিনস (লেখক) ‘পাওলো কোয়েলো সাহিত্যের আলকেমির রহস্য জেনে ফেলেছেন।’ – কেনজাবুরো ওয়ে (সাহিত্যে নোবেলবিজয়ী লেখক) ‘যদি সত্যিই মন থেকে কিছু চান, তাহলে কিছুই অসম্ভব না– এটাই কোয়েলোর সন্দেশ। অন্য কোনো বই এটার মতো করে আশার প্রদীপ জ্বালাতে পারেনি।’ – ফোকাস (জার্মান ম্যাগাজিন) ‘গল্পের ফাঁকে ফাঁকে, আধুনিক কাব্যের ভঙ্গিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে গভীর অন্তর্দৃষ্টি। এই গল্পটা আমাদের কল্পনার জগৎকে তো নাড়া দেবেই, পাশাপাশি পাঠককে নিয়ে যাবে তার নিজের আত্মার জগতে।’ – দ্যা জাপান নিউজ
ব্রাজিলিয়ান ঔপন্যাসিক পাওলো কোয়েলহো ডি’সুজা ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে জন্মগ্রহণ করেন। একই শহরে তার শিক্ষাজীবনের শুরু এবং বেড়ে ওঠা। আইন বিষয়ে কিছুদিন পড়াশোনার পর ভ্রমণের নেশায় তা আর শেষ করতে পারেননি। ঐ সময়টা ভবঘুরের ন্যায় ঘুরে বেড়িয়েছেন মেক্সিকো, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, চিলিসহ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর পরপরই ছোটবেলার স্বপ্ন বই লেখাকে বাস্তবে রূপ দেন। ১৯৮২ সালে ‘হেল আর্কাইভস’ নামক বই দ্বারা সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তবে এই প্রবেশ আকর্ষণীয় ছিলো না। এমনকি দ্বিতীয় প্রকাশিত বই ‘প্রাক্টিক্যাল ম্যানুয়েল অব ভ্যাম্পায়ারিজম’ তার নিজেরই অপছন্দের তালিকায় ছিলো। ১৯৮৭ সালে ‘পিলগ্রিমেজ’ এর পর ১৯৮৮ সালে প্রকাশ পায় তার আরেক বই ‘দ্য আলকেমিস্ট’। পাওলো কোয়েলহো এর বই হিসেবে ‘দ্য আলকেমিস্ট’ বইটিই মূলত কোয়েলহোর লেখক-জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে ‘৮৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়েছিলো ব্রাজিলের একটি ছোট প্রকাশনা সংস্থা থেকে, যারা ন’শোর বেশি কপি ছাপাতে নারাজ ছিলো। ১৯৯৩ সালে একই বই আমেরিকার বিখ্যাত প্রকাশনী হারপার কলিন্স থেকে প্রকাশিত হলে পাঠক মহলে হুলুস্থুল পড়ে যায়। বইটি এখন পর্যন্ত মোট ৮০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, যা পাওলো কোয়েলহো এর বই সমূহ এর মাঝে অনন্য। কোয়েলহোর কাহিনীগুলোর বিশেষত্ব হলো তার কল্পনাশক্তির জাদুকরী মোহ। কোনো সরল গল্প দ্বারা তিনি গভীর জীবন দর্শনবোধ পাঠকদের মাঝে সঞ্চালন করতে চান, এবং সফলতার সাথে করেও এসেছেন। পাওলো কোয়েলহো এর বই সমগ্র-তে স্থান পাওয়া উপন্যাসগুলোর মাঝে ‘দ্য আলকেমিস্ট’, ‘ব্রিদা’, ‘দ্য ডেভিল এন্ড মিস প্রাইম’, ‘দ্য জহির’, ‘দ্য ভ্যালকাইরিস’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ‘দ্য মাডি রোড’, ‘দ্য রং গিফট’, ‘দ্য জায়ান্ট ট্রি’, ‘দ্য ফিশ হু সেভড মাই লাইফ’, ‘আই উড র্যাদার বি ইন হেল’, ‘রিবিল্ডিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর মতো ছোটগল্পগুলোতেও দর্শনের প্রমাণ মেলে, যা পাঠকদের গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। পাওলো কোয়েলহোর আরেক পরিচয় তিনি গীতিকার। বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্রাজিলীয় গানের জনক তিনি।