প্রতিটি মানুষই জীবন চলার পথে এমন কিছু নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয় যে তা চাইলেও মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। বরং মনের অতলে তা বুদবুদ হয়ে ভেসে উঠতে চায়। সেই ধারাবাহিকতায় গুলশিরিনের বিরহী মনের আকুলতা আমি ঝেড়ে ফেলতে পারিনি। গুল! গুল শিরিন! সদ্য কিশোরী গুল প্রেমের আরক আকণ্ঠ পান করে সদা বিরহে ছটফট করতে করতে আজ যৌবনের মধ্য প্রান্তে। তার বিরহ গাঁথার সাক্ষী হয়ে এই অধমও কাতর হয়ে আছি। কে এই গুল শিরিন? আমার প্রথম বই একটি সাধারণ মেয়ের আত্মকথনের রিভিউ দেখে প্রথম আমার ম্যাসেঞ্জারে নক করেছিল গুল। উপন্যাস, কবিতা পড়তে খুবই ভালোবাসে। প্রায়ই দেখতাম ফেইসবুকে বিভিন্ন গল্পের পোস্টে সুন্দর করে কমেন্ট করতে। আমি আবার কোন গল্প পড়ে শেষ করে কে কি কমেন্ট করেছে তা পড়তে ভালোবাসি। গুল শিরিনের কমেন্টগুলো পড়লেও ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল না। কিন্তু পরিচয়ের পর আমাদের মনে এমন কেমিস্ট্রি রচিত হয়ে গিয়েছিল যে আমরা মোবাইল হাতে নিয়ে চোখ বুলিয়ে দেখে নিই অপর জন একটিভ আছি কিনা। কী করে যেন নিমিষেই একে অপরকে মনের যে স্থানটিতে প্রিয়তম মানুষদের আনাগোনা থাকে সেই স্থানটিরই দখল দিয়ে বসে রইলাম। কথার ফাঁকে ফাঁকে গুলের কষ্ট, প্রেম, বিরহ আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। তাই একদিন গুলকে বললাম, আপনাদের নিয়ে স্বপ্নিল একটি গল্প মাথায় ঘুরছে। অনুমতি পেলে লিখতে পারি। গুলঃ হা হা, ভালো হবে। সেই অভয় বানী পেয়ে আমি নতুন উদ্যামে শুরু করলাম। তবে কাহিনীটা গুল শিরিনের জবানিতেই লিপিবদ্ধ করে পাঠকের কাঠগড়ায় দাঁড় করালাম। পাঠকের হৃদয় যদি ছুঁতে পারি তবে ই লেখনী সার্থক হয়ে উঠবে।
জন্ম ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৮, নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দাদাবাড়ীতে। পিতা মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমদ মিলন ছিলেন একজন পদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং পিতামহ মরহুম মোসায়েফ উদ্দিন আহমেদ আপন ছিলেন হাতিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শত বছরের সেরা শিক্ষক । লেখকের ড্যাডি আবু ইউসুফ মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন বেলাল (জয়েন্ট সেক্রেটারি) ছিলেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত। ড্যাডির বদলির চাকুরির সূত্র ধরে লেখক নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চতর গণিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্কুলজীবন থেকে গল্প কাহিনী, উপন্যাস পাঠের অদম্য আকর্ষণ থেকে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। একটি সাধারণ মেয়ের আত্মকথন (১ম খণ্ড) লেখকের প্রথম প্রকাশিত আত্মজৈবনিক উপন্যাস। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বোদ্ধা পাঠক মহলের প্রশংসা অর্জন করে। বইটির ২য় খণ্ড প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ফাইয়াদ এবং জাওয়াদ দুই পুত্রের জননী। স্বামী শাকিল বদরুদ্দোজা শামস্ একজন উচ্চ পদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তা।