মেঘলা আকাশের নিচে, ঝাপসা কুয়াশার মাঝে বসে লিখেছিলাম কয়েকশো চিঠি। হয়তো তার একটা ও তুমি মন দিয়ে পড়ে দেখোনি, দেখলেও হয়তো বোঝোনি অন্তর্নিহিত অর্থ। আমিও জোর করিনি, বোঝাতে চাইনি তোমাকে। তাই হয়তো তুমি আজ আমার পাশে নেই। কিন্তু কি জানো ? আজও যখন আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়, যখন দেখি আকাশের ও আজ মুখ ভার আবার যখন চোখ খুলে দেখি চারি দিকে ঘন কুয়াশা সব ঝাপসা তখনই ঠিক তোমার বাড়ির দিকে রওনা দিই। ভাঙাচোরা মন আর সাইকেলটা কে সাথে নি। ঠিক তোমার বাড়ির মোড়ে গিয়ে যেমন আমার সাইকেলের বেগ কমে যায় ঠিক তেমনই বেড়ে যায়আমার হৃদ-স্পন্দন। মনে হয় এই বুঝি পেলাম তোমার দেখা! কিন্তু না! পরক্ষনেই মনে হয় তুমি আমায় দেখতে পাবেনা বা হয়তো দেখতে চাও না। তোমার দামী জানলার ঝাপসা কাচে যে জলবিন্দুদের প্রেম জমে উঠেছে! তুমি কি আমায় আর দেখতে পাবে? ভাবি তোমার ডাকবাক্সে একটা চিঠি ফেলেই আসি, লিখেই আসি ‘ভালো নেই!’ থাক চিঠির সংখ্যা বাড়িয়ে আর লাভ নেই। তুমি যে আর ফিরবে না তা আমার কাছে বৃষ্টির জলের মত স্বচ্ছ। তাই ভাঙাচোরা সাইকেল আর মনটা নিয়ে তোমার পাড়া থেকে বিদায় নিলাম ঠিক যেমনটা বৃষ্টির পর আকাশের মেঘগুলো নেয়। বাড়ি ফিরে আবার লিখতে বসি, পাতার পর পাতা শেষ হয়ে যায়, তবুও আমার লেখা শেষ হয় না। আমি লিখেই যাই, আমি লিখেই যাই...