১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষে সিপাহী-জনতার এক মহাবিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল। বিদ্রোহী সিপাহীদের হাতে হাত রেখে দখলদার ব্রিটিশদের থেকে মুক্তির উত্তাল লড়াইয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ইতিহাসে এমন বিস্তৃত ও সর্বব্যাপী মুক্তি আন্দোলন খুব কমই ঘটেছে। ইতিহাসে পাতায় পাতায় আজও রয়েছে বিদ্রোহে দিল্লীর কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল বখত খান রহ., মাওলানা আহমাদুল্লাহ শাহ রহ., মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদী রহ., নবাব বিরজিস কদর, ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাঈ, নানা সাহেব, তাতিয়া টোপীসহ অসংখ্য বীরযোদ্ধার বীরত্বমাখা বর্ণনা। তাদের কুরবানি ও আত্মোৎসর্গের রক্তাক্ত দাস্তান। কিন্তু আপনজনদের সেই প্রতারণা ও গাদ্দারির ফলে এই মহান ভারতবর্ষ জুড়ে বিস্তৃত এই মুক্তিযুদ্ধ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল। বিপ্লবে নেতৃত্ব দানকারী অসংখ্য যোদ্ধা ও আলিম-উলামাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছিল। ব্রিটিশরা এতো নির্দয় ও নিষ্ঠুরভাবে এই আন্দোলন দমন করেছিল, যা পাঠ করলে আজও শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে! চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়! হৃদয় দুঃখ-কষ্টে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে! কেন ব্যর্থ হয়েছিল সিপাহী-জনতার এই মহান স্বাধীনতা আন্দোলন? কারা ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে ভারতবর্ষের মানুষদের সাথে গাদ্দারি করেছিল? বিপ্লবের পুরোধা মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ কি আসলেই বিপ্লবে পরিচালনায় যোগ্য নেতৃত্ব ছিল? কী প্রতিকূল পরিস্থিতি ও পরিবেশে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছিল জেনারেল বখত খান রহ. কে? ইংরেজরা কীভাবে দমন করেছিল সিপাহী-জনতার এই মহাবিপ্লব? একজন প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে এবং সিপাহী বিপ্লবের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে আপনাকে সাহায্য করবে মুঘল দরবারের সদস্য আবদুল লতিফ লিখিত ‘ডায়েরি ১৮৫৭: সিপাহী বিদ্রোহের চাক্ষুষ বিবরণ’। বইটি আপনাকে নিয়ে যাবে ১৮৫৭ সালের দিল্লীর মুঘল রাজদরবারে। চিনিয়ে দিবে বিপ্লবের দোস্ত-দুশমনকে। সিপাহী-জনতার মহা বিপ্লবের এটি একটি ঐতিহাসিক মূল্যবান দলীল।