ফ্ল্যাপ থেকে- জুমনদের বাড়ি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। তবে মাঝে মাঝে পাশের বাড়ির এক আংকেল এসে দেখাশোনা করে যেতেন। তারা দেশে আসার আগে সব ঠিকঠাক করিয়েছেন। তখন মধ্যরাত। মোটামুটি সবাই ঘুমে। ফুফুমণি, আম্মু, জুমন এবং সিয়াম একই খাটে শুয়েছে। হঠাৎ সিয়াম লক্ষ করে একটি ছোট্ট আলো। দূর থেকে মনে হচ্ছে কোনো মার্বেল পাথর আলো দিচ্ছে। ধীরে ধীরে আলোটি তার দিকে আসছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আলোটি দ্রুত খুব কাছে চলে আসে। ধারণ করে এক আচানক অবয়ব। না মানুষ, না কোনো প্রাণী। এমন অবয়ব আর কখনও দেখেনি সিয়াম। চিৎকার করতে চেয়েও পারেনি। মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। দৌড়ে পালাতে চেয়েও পা আগায় না সামনে। ভ্যাবাচেকা খেয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে সিয়াম। অবয়বটি মুখোমুখি দাঁড়ায় সিয়ামের। ব্যাক কভার থেকে- ব্যাপারটা প্রথম ধরা পড়ে এক মধ্যরাতে। সবাই ঘুমে তখন। তিন্নি কার সাথে যেন কথা বলছে ফিসফিস করে। হঠাৎ ঘুম ভাঙায় বিষয়টি খেয়াল করেন তিন্নির আম্মু। কিছুটা হকচকিয়ে যান। কাছে গিয়ে তিন্নির মাথায় হাত রাখেন। বেশ ঠান্ডা অনুভূত হলো। ঠিক তখনই খিকখিক করে হেসে উঠল তিন্নি। ধমক দেবেন নাকি শান্ত থাকবেন বুঝতে পারেন না তিন্নির আম্মু। দ্রুত লাইট জ্বালালেন রুমের। সাদা আলোতে কেমন জ্বলজ্বল করছে তিন্নির চেহারা। বিপত্তি বাধাল তিন্নি। উঠে গিয়ে বন্ধ করে দিল লাইট। কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আম্মুও এসে বসলেন পাশে। বোঝার চেষ্টা করলেন ব্যাপারটা।
সমকালীন সময়ের প্রতিভাবান এক তরুণ। পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি যুক্ত আছেন সাংবাদিকতার সাথেও৷ বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আছে তার সরব পদচারণা। মাহবুব এ রহমানের লেখালেখির শুরুটা ছেলেবেলায়। লেখালেখির ক্ষেত্রে শিশু-কিশোরদের জগৎটা তাঁর প্রথম পছন্দ। তাইতো এ পর্যন্ত প্রকাশিত সবগুলোই বই-ই শিশু-কিশোর উপযোগী। মাহবুবের ভাষায়, 'শিশুদের জন্য লিখতে বেশ সতর্ক থাকতে হয়। ওদের মনস্তত্ত্বকে বুঝতে হয়, ওদের মতো করে ভাবতে হয়। তবে শিশুদের জন্য লিখতে বা শিশুদের মন ভালোর কারণ হতে পারা আমার কাছে বেশ আনন্দের। সে আনন্দ পেতে চাই সব সময়।' মাহবুব এ রহমানের জন্ম সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কাড়াবাল্লা গ্রামে। চতুর্থ শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রথম লেখা প্রকাশ পায় 'সাপ্তাহিক নবদ্বীপ' পত্রিকায়। এরপর দেশের বিভিন্ন লিটলম্যাগের পাশাপাশি নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিকেও। এ পর্যন্ত তাঁর ৩ টি বই প্রকাশিত হয়েছে।