‘আমার সিমকার্ডটা মায়ের কাছে, কথাটা সত্য নয়। ইচ্ছে করেই সেটা দিয়ে তোমাক কল করিনি! তোমার সাথে এতদিনের কথা কিংবা বাসায় ডেকে আনার কোনো রেকর্ড আমি রাখছি না!’ ‘এসব কী বলছ- আমি বুঝতে পারছি না!’ ‘আমার কথা এখনো শেষ হয়নি অমিত, খেপে ওঠা মানুষগুলো নেকড়ের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তোমার হাতে আর বেশি সময় নেই। এখানে কিছু টাকা আছে, রাখো।’ ‘টাকা দিয়ে কী করব!’ ‘উহ! কথা বলো না, এটা নিশ্চয় চিনতে পারছ! পিস্তলটি আমার বাবার। গুলি লোড করা আছে, ট্রিগার টান দিলেই তোমার বুক ঝাঁজরা হয়ে যাবে। কিন্তু তার আর দরকার হবে না! তোমাকে আমি বিষ দিয়ে কফি খাইয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব কোনো হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে চলে যাও!’ ইউ লায়ার, বাস্টার্ড! আই উইল কিল ইউ ‘আর একটা শব্দ করলে, হাসপাতালে যাবার সময়ও পাবে না।’ অমিত দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায়। চৈতি জানালার গ্রিল দিয়ে চেয়ে দেখে একজন ভীত মানুষ কীভাবে কী অদ্ভুত কায়দায় জীবনটা বাঁচাতে চাইছে। চৈতির খুব হাসি পায়, সেই হাসি চৈতি চাপিয়ে রাখতে পারে না! হাসির শব্দ প্রতিধ্বনি হয়ে দিগন্তে ছেয়ে যায়। সে মোবাইল থেকে সিমটি খুলে ভেঙে ফেলে। অতঃপর ধোঁয়াবিহীন পরিত্যক্ত কফিটুকু এক চুমুকে শেষ করবার চেষ্টা করে।
তথাকথিত জনপ্রিয় লেখক না হলেও আরমানউজ্জামান ইতিমধ্যেই তাঁর প্রকাশিত উপন্যাস ও গল্পের নিজস্ব পাঠক তৈরি করতে পেরেছেন। প্রকাশিত উপন্যাসগুলাে অন্তত | সেই সাক্ষ্যই বহন করে। আরমানের গল্প বলার ভঙ্গিমায় রয়েছে অপূর্ব শব্দচয়ন। কথার কথনে খুব সহজেই আন্দোলিত করতে পারেন পাঠক হৃদয়। লেখার পরতে পরতে টের পাওয়া যায় পরিশীলতা আর মুন্সিয়ানার ছাপ। | ব্যবস্থাপনায় অনার্স, মাস্টার্স এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এমবিএ শেষ করে পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত। ঔপন্যাসিক আরমানউজ্জামানের জন্ম | ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার বানেশ্বরদী গ্রামে। বাবা মৃত আলীমুজ্জামান মিয়া, মা মনােয়ার জামান।