সাফল্যের আলোকিত ভোরে স্বাগতম! ধারাবাহিক সাফল্যের ২২তম বৎসরে আলোর দিশারী পাবলিকেশন্স এর সুনামের সাথে অগ্রযাত্রা । আলহামদুলিল্লাহ! একটা গল্প দিয়ে শুরু করা যাক... রাস্তার ধারে ভিক্ষা করছিল এক ভিক্ষুক। একজন সহকর্মী পথচারী ভিক্ষুকের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে একটা কাগজে লিখে দিলো-“আমি অন্ধ একজন মানুষ, বৃদ্ধ বয়সে কাজের ক্ষমতাও আমার নেই। তাই আমার অক্ষমতার জন্য আপনাদের সবার কাছে আমি সাহায্যপ্রার্থী।” লেখা দেখে সবাই সাহায্য করছে, তাতে অন্ধ বৃদ্ধের আর কথাগুলো বলতে হচ্ছে না বারবার। কয়েকদিন এভাবে কেটে গেলো। আরেক পথচারী এসে লেখাটা বদলে অন্য কাগজ সেখানে লাগিয়ে দিলো। তাতে অন্ধ ভিক্ষুকের রোজগার অনেক বেড়ে গেলো। অবাক বৃদ্ধ জানতে পারলো-নতুন কাগজটায় লেখা ছিল, “আজকের দিনটা অনেক সুন্দর অথচ আমি দেখতে পাচ্ছি না”। বন্ধুরা, দ্রুত বদলে যাওয়া এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সময়ের সাথে নিজেকে টিকিয়ে রাখা, সময়ের দাবী অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করা। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রস্তুতি বলতে আমরা বুঝি সামসময়িক শিক্ষাব্যবস্থায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে অসংখ্য প্রতিযোগী থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলা। কাজটি জটিল, তবে অসম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন নিজেকে যথাসময়ে তৈরি করে ফেলা। মনে রাখতে হবে, এই প্রস্তুতিতে তোমাকে যেমন সিলেবাস সম্পূর্ণ করতে হয়, তেমনি বুঝে নিতে হবে প্রশ্নকর্তার চিন্তা-ভাবনা এবং তোমার সাথে প্রতিদন্দ্বিতায় নামতে যাওয়া প্রতিযোগী বন্ধুদের প্রস্তুতি ও কৌশল সম্পর্কেও। আর এই কাজটিতেই তোমার পাশে থাকার অঙ্গীকার করে আসছে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার আরেক দিকপাল, দীর্ঘ প্রায় দুই দশক থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দানকারী, স্বনামধন্য প্রকাশনা “আলোর দিশারী পাবলিকেশন্স”। আমাদের প্রকাশনাসমূহ তোমাদের বৃহৎ সিলেবাসকে শুধু সংক্ষিপ্তভাবেই উপস্থাপন করবে না, এসব প্রকাশনা থেকে তোমরা পাবে বছরজুড়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও ব্যতিক্রমধর্মী উপস্থাপনার কৌশল। ‘সাফল্যের আলোকিত বিশ্ব তোমাকে দেখাতে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দাখিল পরীক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হল দাখিল ২৩ MCQ ভ্যাকসিন । যার সংক্ষিপ্ততা তোমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুঁজে নিতে সাহায্য করবে। আমাদের প্রত্যাশা-তোমাদের সাফল্যময় জীবনের পরশে এ ধরণীতে হোক আরেকটি প্রসন্ন সোনালী সকালের উদয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে লালন করে তোমরা হয়ে যাও আগামীর বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব। সফল হোক তোমাদের সকল প্রচেষ্টা। ‘আলোর দিশারী’র পথ নির্দেশনায় ও আলোকময় আশীর্বাদে আলোকিত হোক তোমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ। ‘আমরা ছিলাম, আমরা আছি নিরবচ্ছিন্নভাবে তোমাদের পাশে, আগামী দিনেও তোমাদের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে’ ইনশা আল্লাহ।
মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ১৯৯৮ সালে দাখিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে স্টার মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০০ সালে আলিম পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশে ২০ জন বোর্ড স্ট্যান্ডধারীদের মধ্যে হতে ৯ম বোর্ড স্ট্যান্ড অর্জন করেন। এর পর সরকারী স্কলারশীপ নিয়ে ২০০০ সালে দ্বীনি শিক্ষা অর্জনের জন্য ঢাকার অদূরে তুরাগ নদীর পাশে টংগীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় ফাযিল শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে হাজী শরীয়ত উল্লাহ্ হলে অবস্থান ও পড়ালেখা শুরু হয়। ২০০২ সালে ফাযিল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ২০০৪ সালে একই প্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টংগী ক্যাম্পাস হতে কামিল হাদীস বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয় জগতে উত্তরা ইউনিভার্সিটি হতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে (বি.এ) অনার্স (স্নাতক)-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং একই ভাবে এম.এ ( স্নাতকোত্তর) মাস্টার্স হতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের 4th Convocation এ বাংলাদেশ চীনমৈত্রী সম্মেলনে ৪র্থ সমাবর্তন এ ডিন পদক ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা জীবনে যে সকল প্রসিদ্ধ শিক্ষকদের কাছে তিনি পড়াশোনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন মাদ্রাসা জগতে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টংগী ক্যাম্পাস হতে ফাযিলাতুজ শায়েখ অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন ওস্তাজ, মাওলানা শফিকুল্লাহ্ আল মাদানী ওস্তাজ, মরহুম ড. মোঃ গিয়াস উদ্দীন, মরহুম মাওলানা আব্দুর রশীদ আল-মাদানী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা মিজানুর রহমান, ড. মাওলানা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন আল-আজহারী, ড. মোঃ নুরুল্লাহ্ আল মাদানী, মাওলানা সাঈদুল ইসলাম, মাওলানা মাহতাব উদ্দিন, জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ড. সালমান আল ফারসী, জনাব আবুল হাসান, মোঃ ইব্রাহীম, মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা নুরুল আমিন। প্রমুখ... বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক হলেন: ড. এ.টি.এম সামছুদ্দোহা স্যার, জনাব আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, জনাব সাইয়্যেদ সাহিদ আহম্মেদ, মুহা: সাহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ আতিকুর রহমান ও ড. অনুফমা আফরোজ। কর্ম জীবনে ২০০৪ সালে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা হতে কামিল পরীক্ষা দিয়েই উত্তরাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর একাধারে সুনামের সহিত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকেন। একই সাথে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবরাস মাদ্রাসা, বনশ্রী, ফাউন্ডার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। ২০০০ সাল হতে বিভিন্ন প্রকাশনা জগতে লেখালেখির কাজে যুক্ত হন। পরে নিজের প্রকাশনা আলোর দিশারী পাবলিকেশন্স, যা হাঁটি হাঁটি পা পা করে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী ক্যাম্পাস হাজী শরীয়ত উল্লাহ্ হল হতে কার্যক্রম শুরু হয়। যা সু-নামের সহিত সারা বাংলাদেশে আজ ছড়িয়ে পড়েছে। যার পথ চলা আজ ২২ তম বৎসরে পদার্পণ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ্।