এ গ্রন্থটিতে আঠারোটি অধ্যায়সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিশিষ্ট সংযোজন করা হয়েছে। বিষয়বস্তু হিসেবে বিশেষ করে ভারত-বাংলার ব্রিটিশ শাসন, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম ও বাল্যজীবনের ঘটনা, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী-নেতাজীসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যৌক্তিক আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম, সাম্য, মানবতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বাঙালির ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিনির্মাণ, ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপন, রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম", ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা উত্তর দেশ রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও দ্বিতীয় বিপ্লব বাকশাল গঠন এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ প্রভৃতি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। পাকিস্তান শাসক দল ও দোসররা মিলে গোপনে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে অমানবিক ও নৃশংসভাবে হত্যা। করে বিশ্বের ইতিহাসে সেদিনের ঘটনাটি ছিল অত্যন্ত অমানবিক ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তারাই পরবর্তী সময় ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ছিল প্রায় দুই যুগের অধিককাল ধরে তারাই বঙ্গবন্ধুর অর্জিত সাফল্যকে বরাবরই আড়াল করে রেখেছিল সাধারণের কাছ থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে লিপ্ত ছিল মিথ্যাচার ও চরিত্র হননে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে রাখতে চেয়েছিল জাতি ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ভাষায় বলতে হয়- 'Some people can be fooled for some people cannot be fooled for all the time.' অর্থাৎ 'সব মানুষকে সব সময়ের জন্যে বোকা বানানো যায় না। ধীরে ধীরে উদ্ঘাটিত হচ্ছে প্রকৃত ইতিহাস। মানুষ জানতে পারছে বঙ্গবন্ধুর অমূল্য অবদান এবং অসামান্য কীর্তিগাথা সম্পর্কে।'