বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ কোনো না কোনো ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে জড়িত। এর বেশির ভাগই অনলাইন নির্ভর। বর্তমান জেনারেশন বা Gen Z-দের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্রহণ যোগ্যতা বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে গতানুগতিক জব থেকে ফ্রিল্যান্সিং জবে বেশি স্বাধীনতা পাওয়া যায়। চাকরি চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এ ছাড়া কোম্পানিগুলোও দিন দিন ফুল টাইম কর্মীর পরিবর্তে কন্ট্রাক্ট বেইজড কর্মীর দিকে ঝুঁকছে। জেনে অবাক হবেন যে গুগলের ফুল টাইম কর্মী থেকে ফ্রিল্যান্স বেইজড কর্মী বেশি। যাদের বেশির ভাগই রিমোটলি জব করে। শুধু গুগল না, বড় বড় কোম্পানিগুলো খরচ মিনিমাইজ করার জন্য দিন দিন রিমোট ওয়ার্কের দিকে ঝুঁকছে। আর তাই ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটা চমৎকার বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন দেশ তাদের জন্য ‘Digital Nomad Visas’ নামে বিশেষ ভিসা চালু করেছে। অর্থাৎ যারা ফ্রিল্যান্সিং করে, তারা চাইলে এই ভিসা ব্যবহার করে ঐ দেশগুলোতে গিয়ে থাকতে পারবে। বইটা লিখার সময় পর্যন্ত জার্মানি, নরওয়ে, স্পেন, দুবাইসহ বিশ্বের ৫১টি দেশে এই ভিসা চালু হয়েছে। দিন দিন নতুন দেশ যুক্ত হচ্ছে এই তালিকায়। যারা সারা বিশ্ব ঘুরে দেখতে চায়, তাদের জন্য এর থেকে ভালো সুযোগ আর কী হতে পারে?
জাকির হোসাইন গ্র্যাজুয়েশন সমাপ্ত করেছেন কম্পিউটার সাইন্সের উপর। ইউনিভার্সিটিতে থাকা কালীন সময় থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। বর্তমানে কাজের পাশাপাশি লেখালিখি ও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করেন। মাতৃভাষায় প্রযুক্তি জ্ঞান সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই। এছাড়া প্রোগ্রামিং, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি নিয়ে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন উনার নিজস্ব ব্লগ https://jakir.me-তে।