রিভেঞ্জ অব নেচার—গল্পে আঁকা কোনো রূপকথা নয়। আমাদের বাস্তব জীবনের এক বিমূর্ত ছবি। আমাদের ধর্মবিশ্বাস, দেশ-সমাজ, রাষ্ট্র নির্বিশেষে আমাদের জীবনের কথাগুলোই বাস্তবতার ছোঁয়ায় রূপ নিয়েছে পুরো একটি গ্রন্থ। 'রিভেঞ্জ অব নেচার' নামে মাত্র একটি গ্রন্থই নয়; আমাদের জীবন পরতের প্রতিচ্ছবি। আমরা যখন একই ভুল বারবার করি কিংবা বিবেকশূন্য হয়ে আঁধার পথে হাঁটি; আলোর প্রয়োজন পড়ে সুন্দর পৃথিবী দেখতে। সহজ পথে হাঁটতে। ধর্মের রাহে চলতে। মানুষের মুখ দেখে মুখোশ চেনা বড়ো দায়। সেই মুখোশধারী মানুষগুলোই হয়তো আমাদের সমাজ কিংবা রাষ্ট্রনেতা। ক্ষমতা 'বলে' অন্যের উপর কর্তৃত্ব বিস্তার যখন স্বভাবজাত হয়ে যায়; ধীরে ধীরে সেই শক্তিই তাকে ঠেলে দেয় নরক সাগরে। স্রোতের বিপরীতে ভাসবার আগে একটি বার চিন্তাও হয় না—মুখোশ উন্মোচিত হলে মান-সম্মান যে মৃত্তিকায় মিশে যাবে। 'সত্য কখনো গোপন থাকে না' একথা জানা এবং মানার পরও শুভবুদ্ধি উদয় হয় না। একটি সময় এসে যখন ছলচাতুরী ধরা পড়ে; সমাজ-জাতিচ্যুত সেই নেতার ঠাঁই হয় না স্বদেশে বরং বিদেশেও। আমরা খুব কম মানুষই পরের ভালোটা সহ্য করতে পারি। হিংসার অনলে পুড়ি। আমরা অধিকাংশ মানুষই ভালোর চেয়ে মন্দের দিকে ধাবিত হই খুব সহজে, পরিণতি না ভেবে নির্বিচারে। ধর্মের বিধিনিষেধ নেই, বর্ণের নেই কোনো ভেদাভেদ, নেই পরিণতির কোনো ভয়-ভীতি। অবশেষে জীবন যখন বিষাদময়; আফসোসের হাত কপালে মারি। কিন্তু দেরি হয়ে গেছে অনেক। অথচ আগেও সুযোগ ছিলো ফিরে তাকাবার, ফিরে আসার। বাস্তব জীবনের পালাবদলের গল্পগুলো আমরা পড়বো প্রতিটি পাতায় পাতায়। আর দেরি কেন তাহলে? চলুন মুখ গুঁজে করি সত্যের সঙ্গে সম্ভাষণ।