শাহানারা স্বপ্না'র খুব ছোট সময় থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। পরিবারের আট ভাইবোনের প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন লেখালেখির প্রতি অত্যন্ত উৎসাহী। স্কুল জীবন থেকেই তৎকালীন দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলা’, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকা ডাইজেস্ট, নবারুণ ইত্যাদির ছোটদের পাতায় লিখতেন। ১৯৭৩ সালে দৈনিক বাংলায় প্রথম ছোটগল্প বের হয়। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন যাপনের ফলে লেখালেখিতে ছেদ পড়ে কিছুকাল। দেশে ফিরে পুনরায় পড়াশোনা ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন বনানী, ঢাকায়। এ যাবত দুইটি গল্পগ্রন্থ, একটি প্রবন্ধগ্রন্থ এবং দুইটি শিশুতোষ ছড়ার বই প্রকাশ পেয়েছে। সম্পাদনা করেন বই ‘প্রসঙ্গ : চেমন আরা’ এবং ’আলোকিত : প্রফেসর চেমন আরা’। সৃজনশীল ত্রৈমাসিক সাহিত্য সাময়িকী ‘সুচরিতা’র সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ চার বছর সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সাপ্তাহিক ‘কাল পলাশীর চিঠি’র। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ, গল্প, ছড়া নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। ইতিহাস ও আইন সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদনা করছেন লিটলম্যাগ পত্রিকা- ‘নীলঘুড়ি’। পেশায় আইনজীবী হলেও বিশেষ অনুরাগ ইতিহাস ও সাহিত্যের গভীর অধ্যয়নে।
পৈত্রিক নিবাস বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর। বাবার চাকুরির সুবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর-বন্দরে ঘুরে বেড়ান এবং সেখানকার স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেন। ডিগ্রি পাস করে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ। বিএমডিসি থেকে ডিপ্লোমা অব ম্যানেজম্যন্ট শেষ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেন। খুব ছোট্র সময় থেকেই লেখায় হাতে খড়ি। পরিবারের আট ভাইবোন প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন লেখালেখির প্রতি অত্যন্ত উৎসাহী। সেই স্কুল জীবনেই তাদের স্বপ্ন ছিল পত্রিকা বের করার। নিজেরা মিলে হাতে লিখে বের করেছিলেন একটি দেয়াল পত্রিকা। রাত জেগে কার্বন পেপারের ওপর রেখে কপি করে তৈরি হত অল্প ক’টি সংখ্যা। নিজেদের লেখা নিয়ে তৈরি সেই ক্ষুদ্র প্রয়াসটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল অপার আনন্দময় মুহুর্ত। স্কুল জীবন থেকেই পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। তৎকালীন দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক পূর্বদেশ, ঢাকা ডাইজেস্ট ইত্যাদির ছোটদের পাতায় নিয়মিত লিখতেন। ১৯৭৩ সালে দৈনিক বাংলা’র ‘সাত ভাই চম্পা’তে প্রথম ছোটগল্প বের হয়। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন যাপনের ফলে ছেদ পড়ে কিছুকাল। দেশে ফিরে পুনরায় পড়াশোনা ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। ইতিহাস ও আইন সংক্রান্ত লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সৃজনশীল ত্রৈমাসিক সাহিত্য সাময়িকী ‘সুচরিতা’র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাপ্তাহিক ‘কাল পলাশীর চিঠি’র। ‘লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা প্রতিতী’র ‘ক্লাব বুলেটিন’ সম্পাদনা করেছেন অনেকদিন। বিশেষ অনুরাগ ইতিহাস ও সাহিত্যের গভীর অধ্যয়নে। বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।