পরিবেশের বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় করোনা দুর্যোগের সময়ও বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এক কোটির বেশি চারা রোপণ করে সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাজার হাজার চারা রোপণ করেছেন। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও শত শত গাছ লাগিয়ে মুজিব বর্ষ উদ্যাপিত হয়েছে। দৈনন্দিন দায়িত্বের অংশ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদকীয় শাখা মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে সারা বছরই অনবরত গাছ লাগিয়ে যাচ্ছে। গাছ মানুষের প্রাণ, সেই প্রাণকে রক্ষা করার জন্য মুজিব বর্ষের অবদান বাঙালি জাতি তাদের বুকে ধরে রাখবে। বাংলাদেশে প্রায় ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন হেক্টর বনাঞ্চল রয়েছে। দেশে মোট ভূমির প্রায় ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বনাঞ্চল। জিডিপিতে বনাঞ্চলের অবদান প্রায় ৩ শতাংশ। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২ হাজার ৬০০ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য মোট ভূমির প্রায় ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত। বর্তমানে বিপুল এ জনসংখ্যার দেশে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের জন্য প্রায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বনভূমি কম রয়েছে। জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সেই হারে বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াবে। ভবিষ্যতে বাড়তি জনসংখ্যার চাপে প্রকৃতিতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। প্রতিনিয়ত বনভূমি উজাড় করে মানুষ তাদের প্রয়োজনে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও কলকারখানা নির্মাণ করে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বনভূমি ধ্বংসের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।