“অসীম আকাশ পতিত হয় না কখনােই"। ৭২ টি কবিতা সমস্বয়ে কাব্যগ্রন্থ। কাব্যগ্রন্থের নামকরণ বঙ্গবঙ্গ শেখ মুজিবুর রহমানের নিবেদিত শ্রদ্ধার্ঘে। স্বদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। মানুষ, যারা জীবন ও সময়, পৃথিবীর অন্য অবদান রেখেছেন, রেখে চলেছেন, তারাই এই কাব্যগ্রন্থের উপজীব্য। মুক্তিযুদ্ধ এবং মানুষের মনোবিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন অনেকেই। যুগে যুগে, কালে কালে অনিবার্যতায় এদের আগমন। একটি মানবীয় সুষম সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে আজীবন লড়েছেন তারা। পরিপার্শের বৈরিতা, অসঙ্গতি বা অপশক্তির প্রতিরোধ তাদেরকে অবদমিত রাখতে পারেনি। মৃত্যুঞ্জয়ী এইসব মানুষেরা চিরঞ্জীব হয়ে আছেন, থাকবেন শুদ্ধ মনের গতিতে। একটি কাব্য গ্রন্থের পরিসরে এমন ব্যতিক্রমী মানুষদের মলাটবদ্ধ করা জটিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখা মানুষের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। সঙ্গতভাবেই এই কাব্যগ্রন্থের অন্তভূক্তি অপনিহার্য মনে নাও হতে পারে। কারও আবশ্যিক অন্ততক্ত অপরিহার্য মনে হতে পারে কারও কারও কাছে। আবার কাউকে তুল্যতায় ন্যুনতর বিবেচনা করাও অসম্ভব নয়। সঙ্গতভাবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ , সমাজ উন্নয়ন এবং সার্বিক কল্যাণে নিবেদিত তাদেরকেই অগ্রাধিকারে অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছে। তবে সকলকে নিশ্চিতই নয়। বিশ্বপরিসরেও অনেক কালজয়ী মহামানবদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। ক্রমিক সজ্জাতেও অবদানক্ষেত্র শ্রেয়তর/গৌণত এমন বিবেচনা করা হয়নি। সবিনয়ে এমন অভিমতের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এমন বরেণ্যদের অন্তর্ভূক্ততে নতন গ্রন্থ রচনার আআহ, আমার আন্তরিক। রক্তার্জিত আমাদের স্বদেশ। সমগ্র পৃথিবীতে অশান্তির দাবানল। মানব বৈরিরা তৎপর। মানবীয় মানুষের ঐক্যচেতনার দৃঢতা অপরিহার্য। সেই আলোক প্রত্যয়েই “অসীম আকাশ পতিত হয় না কখনোই" এর পরিবেশনা। পাঠক সুধিজন, সাগ্রহে আপনাদের প্রতিক্রিয়ায় প্রতীক্ষায়।