সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণমানুষ ও বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনভর রাজনীতি করেছেন। মানুষের প্রতি ছিল তার গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা। বিশেষ করে বাংলার দু:খী মানুষের কষ্টে তিনি ব্যথিত হতেন, স্বপ্ন দেখতেন বাংলার অগণিত ক্ষুধা ও দারিদ্রাপীড়িত জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনার। তিনি জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময় যৌবনের অধিকাংশ কাটিয়েছেন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেছেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ফলে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দু:খ-যাতনা। কিন্তু বাংলার নিপীড়িত, নির্যাতিত ও শোষিত মানুষের কথা ভেবে সব কিছু হাসিমুখে সহ্য করেছেন। শুধু প্রতিবাদ ও প্রতিরোধই নয়, প্রতিকারের পথও তিনি দেখিয়েছেন। সেই পথ বেয়ে সংগ্রামের গতিধারায় ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। স্বাধীনতার মর্মার্থ সম্পর্কে সচেতন করেছেন, প্রেরণা দিয়েছেন। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন তারেই অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতি অস্ত্র তুলে নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করেছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে দারিদ্রামুক্ত বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির পথে শুরু করেছিলেন অগ্রযাত্রা। যার শুভ ফলও বাংলাদেশের সদ্য-স্বাধীনতাপ্রাপ্ত মানুষ পেতে শুরু করেছিল। সদ্য-যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের মানুষ যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। বাংলার মানুষ অন্ন পাবে, বস্ত্র পাবে, বাসস্থান পাবে, চিকিৎসা, শিক্ষা পাবে। উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। জাতির পিতার এই অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা পূরণ হতে শুরু করেছিল।