‘জ্বলছি এখন’ কবিতার বইয়ে অন্তর্ভুক্ত কবিতাগুলো মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে যে-কোনও পাঠকের চোখে সহজেই ধরা পড়বে আতাহার খান কবিতায় ইন্দ্রিয়ঘন স্পর্শ আর চিত্রকল্প প্রয়োগে আশ্চর্যরকম এক দক্ষ শিল্পী। তিনি বিশ্বাস করেন, কবিতায় উজ্জ্বল বাকভঙির মধ্য দিয়ে লাভ করা যায় নতুন নতুন উপলব্ধি।এখানে শুধু সচেতন থাকলেই চলবে না, অভিজ্ঞতারও আছে প্রয়োজন। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে একটা অর্থ দাঁড় করানোর ব্যাপারে তিনি মনোযোগী বটে কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক শব্দের ব্যবহারের বিষয়েতিনি মনে করেন, শব্দের ব্যবহার যদি হয় লক্ষ্যভেদী তাহলে সেখানে ছবি থাকবে, রঙের বিন্যাস থাকবে, নতুন নতুন উপলব্ধি ছোঁয়া থাকবে। কবিতায় ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দই তখন শব্দব্যক্তিত্ব রূপে হয়ে উঠবে উদ্ভাসিত। আতাহার খান বিশ্বাস করেন, কবিতার মুখ্য উপাদান হলো শব্দ, এবং তার প্রমাণ ‘জ্বলছি এখন’ কবিতার বইয়ে সংকলিত কবিতাসমূহ। তাঁর সম্পর্কে আবদুল মান্নান সৈয়দ ২০০২ সালে লিখেছেন, “আতাহার খানের ব্যক্তিগত পৃথিবী আসলে এই বিশাল পৃথিবীর এক ছোট প্রতিরূপ, যাকে বলা হয় ‘অণুবিশ্ব’।.....সবই তাঁর নিজস্ব সিলমোহরে অঙ্কিত। বিষয়ে তিনি সবসময়েই আধুনিক ও সমসাময়িক, কোনো কোনো কবিতায় তাঁর ভূমিকা আবিষ্কারকের।”
প্রকাশিত কবিতা বই। ১. শব্দের আকাঙ্ক্ষায় সূর্য (১৯৭২)। ২. শিরস্ত্রাণ খােলাে যুবরাজ (১৯৯৭) ৩. এই জলকণা নাও নদী (২০০০) ৪. প্রেমের কবিতা (২০০১) ৫. দ্বিতীয় প্রেম ও কিছু দাগ (২০০২) ৬. আমার পৃথিবী (২০০৪)। ৭. দাঁড়ানােটাই মূল কথা (২০০৮) শিশুতােষ গ্রন্থ। ৮. হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা (২০০৪) পুরস্কার জসীম উদ্দীন পুরস্কার (১৯৯৭), কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার (২০০৫), কণ্ঠস্বর স্বর্ণপদক (২০০৬)