বিশ্বজগত, সৃষ্টি, স্রষ্টা, প্রকৃতি, প্রাণী,উদ্ভিদ জগত, আমাদের চারপাশ, নদীনালা, খাল, বিল, পাহাড়-পর্বত, ঝর্ণাধারা, আকাশ, রবি শশী, জ্বরা, মৃত্যু এর সবকিছু কাব্য সাহিত্যের উপজীব্য হতে পারে। হিংসাদ্বেষ, ঘৃণা, ক্লেশ, ক্লান্তি, শ্রম, শ্রমবিমুখতা, আলস্য দারিদ্র্য, ঠক, জোচ্চুরি, প্রতারণা, প্রেম,বিরহ, বিচ্ছেদ, হারানো, প্রাপ্তি, আবেগ উচ্ছ্বাস নাটক, কাব্য, সাহিত্য, উপন্যাস, প্রবন্ধে বীররস, করুন রস, হাস্যরস, ব্যাঙ্গাত্মকভাবে সাহিত্যিক, কাব্যরসিক, ভাবুক, কবি তাঁরা লিখনিতে ধারণ করেন- যা ধরণ ধারণে কাব্য, সাহিত্য, প্রবন্ধে আত্মরূপ প্রকাশ করে। ফলে তা উৎকৃষ্ট হোক, আর নিকৃষ্ট না হোক তবুও রচনার অন্তর্গত হয়ে মহাকালের কাহিনিকে আমাদের জন্যে, আগত বিশ্বের জন্যে গ্রন্থ হিসেবে রেখে যান এবং সেজন্যেই বোধকরি আমরা পৃথিবী সৃষ্টির অনেক পরে এসেও পৃথিবীর আদি অন্ত আজ পর্যন্ত জানতে পারি। নাটক, কবিতায়, সাহিত্যে আবেগ,অনুভূতি, ভাবের আতিশয্য, বর্ণনার নিপুণ কাব্যিক সুর, আদর্শ শব্দের উৎকৃষ্ট গাঁথুনি থাকবে- যা পাঠককে ভাবাতুর, আবেগআপ্লূত করে আবেশে জড়িয়ে ফেলবে। কবিতা বলুন, আর সাহিত্য, প্রবন্ধ, হাস্যরস, করুন রস, ব্যঙ্গাত্মক যা-ই হোক তাতে অবশ্যই ম্যাসেজ/বার্তা থাকবেই, থাকতেই হবে। তা না হলে তাতে উৎকৃষ্ট সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত হয় না, হতে পারে না। একজন পুলিশ কর্মকর্তা,কবি,গীতিকার, প্রাবন্ধিক/কলামিস্ট, অভিনেতা, উপস্থাপক, আবৃত্তিকার সর্বোপরি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সারাদেশ না হোক, দেশ-বিদেশে, জাতিসংঘ মিশনে ৪বার কাজ করে জীবনের অনেক বৈচিত্র্যরূপকে আমি প্রত্যক্ষ করেছি। তাই আমার "অপরিচিতা"র পরিচিতরূপকে তেমনি রূপের আংশিক দিয়ে আমি উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। সার্থকতা আর ব্যর্থতা আপনাদের বিবেচনায় রইলো। - আ-মীন। - এটিএম ফারুক আহমেদ