আপনি আমার এই লেখাটা পড়ছেন তারমানে আমি আর বেঁচে নেই। তিন মাস ধরে আমাকে কেউ গোপনে অনুসরণ করে চলেছে, আর এই পরিস্থিতিতে আমার মৃত্যু হলে সেটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। পুলিশকে বলবেন আমার এক্স-বয়ফ্রেন্ড অ্যালেক্স কার্টারের সাথে কথা বলতে। সে জানে লন্ডনে আমার সাথে কী ঘটেছিলো, সবকিছুর শুরু সেখানেই। আমি এখানে কিছু লোকের নাম লিখছি। আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে এদের মধ্যেই কেউ একজন আমাকে খুন করেছে। এরা ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে রামে এসেছিলো। ২ জুন, শনিবার পৌঁছেছিলো তারা। - জো আর্মস্ট্রং - ক্রিস্টিন কাল - ফিওনা গার্ডিনার - ট্রেভর মরগান - ম্যালকম ওয়ার্ড - মেলানি ওয়ার্ড - কেটি ওয়ার্ড আমার ল্যাপটপে আর গেস্টদের মেডিকেল ফাইলে এদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা আছে। ল্যাপটপটা আছে রিসিপশন ডেস্কে আর মেডিকেল ফাইল আছে ডানদিকের ড্রয়ারে। ওরা আসার পর এখন পর্যন্ত যা যা ঘটেছে সব লিখে রেখেছি আমি। আমি এখনো আশায় আছি যে শেষ পর্যন্ত পালাতে পারব, কাউকে যেন এই লেখা পড়তে না হয়। আর কী লিখব জানি না। আমার বাবা-মাকে বলবেন, আমি তাদের খুব ভালবাসি। আর অ্যালেক্সকে বলবেন, যেভাবে আমাদের সম্পর্ক শেষ হয়েছে তাতে ওর কোনো দোষ নেই। যদি এই জায়গায় কোনোদিন না আসতাম আমি! যদি আগের সময়ে ফিরে যেতে পারতাম!