বই সম্পর্কেঃ যে প্রশ্নের উত্তর আপনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন মনেমনে! যুগযুগ ধরে চলে আসা উম্মাহর সোনালি ইখতিলাফ গুলোকে যখন অজ্ঞতার মাপকাঠি দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে, ঠিক তখনি আকিদা ও আমলের ব্যাপারে প্রতিটি মুসলিম মননে তৈরি হচ্ছে সন্দেহের বীজ। যেই বীজ অনুর্বর জমিতে পতিত হয়ে তৈরি করছে নানারকম ফিতনার বজ্রধ্বনি। ফিতনার এই বজ্রধ্বনির বিপরীতে মেডিসিন হিসেবে বাঙলা ভাষায় রচিত হয়েছে, ‘সালাফদের দ্বীন’ নামক ফলপ্রসূ এই কিতাবটি। এটি সাড়াজাগানো গ্রন্থ ‘এন্টিবায়োটিক’ বইয়ের সেকেন্ড ভার্সন। এন্টিবায়োটিক বইটি আকিদা ও আমলের ব্যাপারে সন্দেহের সাগরে ডুবন্ত সহস্র ইসলাম প্রিয় ভাই-বোনদের ক্ষতবিক্ষত হৃদয়কে প্রশান্তির জোগান দিয়েছে। অজ্ঞতার মাপকাঠিতে পরিপূর্ণ মানুষগুলো খুঁজে পেয়েছে তাদের মনে আজন্ম জন্মানো শত-শত প্রশ্নের উত্তর। সালাফদের দ্বীন বইটি-ও তার ব্যতিক্রম নয়। বইটিতে এমন কিছু বিষয়কে তুলে আনা হয়েছে, যা সম্পর্কে প্রায়শই দলীয় কোন্দল লেগেই আছে মুসলিম সমাজে। অথচ বিষয়গুলো শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝি এবং অজ্ঞতার দর্পনে আচ্ছাদনকৃত! ভুল বোঝাবুঝির এই আচ্ছাদনকে খুলে ফেলতে সালাফদের দ্বীন বইটি একটি কার্যকরী মেডিসিন। বইটি মাদ্রাসা পড়ুয়াদের জন্য যেমন উপকারী, তেমনিভাবে জেনারেল পড়ুয়াদের জন্য-ও কার্যকরী। পাঠকদের কাছে সহজে উপস্থাপন করার জন্য প্রতিটি বিষয়কে নান্দনিক উপন্যাস আকারে সাজানো হয়েছে। বইটির এই নান্দনিক গুণের কারণে তা পাঠকের কাছে নন্দিত হয়ে থাকবে প্রতিটি মুসলিম মননে। আশাকরি, ‘সালাফদের দ্বীন’ বইটি পাঠকদের হৃদয় আলোকিত করবে। তারা খুঁজে পাবে যুগযুগ ধরে আসা উম্মাহর অযাচিত ইখতিলাফের প্রকৃত সমাধান। উন্মোচিত হবে নকল সালাফদের ভীড়ে প্রকৃত সালাফদের দর্শন। রব আমাদের সকলকে তার প্রকৃত আকিদা ও আমলের উপর অধিষ্ঠিত রাখুন।
ইলিশের শহর নামে খ্যাত চাঁদপুর জেলায় শেখ বংশের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করি। আমার মায়ের মুখ থেকে শুনেছি, সেই মাসটি ছিলো রমজান মাস। মানুষজন যখন তারাবীহের সালাতে রবের সামনে দন্ডায়মান, ঠিক তখনি আমার মালিক আমাকে দুনিয়ার স্নিগ্ধ বাতাস অনুভব করানোর জন্য উপযুক্ত মনে করলেন। আলহামদুলিল্লাহ। পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে আমি তৃতীয়। হাতেখড়ির শুরুটা মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছি। তারপর যখন মাথার উপর হাত দিয়ে কান ধরতে শিখেছি, তখনি বাবা নিয়ে গেলেন গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। ছোটবেলা থেকেই উস্তায/শিক্ষকরা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। এতদিনে তাদের মধ্যে অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। রব তাদের সবাইকে উত্তম জাযা দান করুন, আমীন। প্রাইমারী শিক্ষা সমাপ্ত করে ভর্তি হই চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রামপুর বাজার দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসায়। জেডিসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হই। তারপর সাইন্স গ্রুপ থেকে দাখিলে এ+ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। এভাবে আলিম, ফাজিল এবং কামিল কৃতিত্বের সাথে রব্বে কা'বা সমাপ্ত করার তাওফিক দিয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে ম্যাথম্যাটিক্সে অনার্স ও নোয়াখালী গ্রন্থাগার তথ্যবিজ্ঞান কলেজ থেকে গ্রন্থাগারের উপর ডিপ্লোমা সমাপ্ত করেছি। ফালিল্লাহিল হামদ্। আমার প্রিয় শখ ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেখালেখি করা। তারই স্বাক্ষর রাখতে অ্যান্টিবায়োটিক ও সালাফদের দ্বীন বই দুটো প্রস্ফুটিত করার চেষ্টা করেছি।