খন্দকার মুনীরুজ্জামান তাঁর বাল্য ও কৈশোর থেকে নিজেকে বিস্তৃত করে দিতে চেয়েছেন বহুভাবে, যে-বিস্তৃতি মনে হবে তাঁর জন্য ছিল একান্ত সহজ ও স্বাভাবিক। ফলে তাঁর কর্মের, বিচরণের আগ্রহের, আনন্দের ক্ষেত্রও ছিল বহুবিধ। এসবের সম্মিলিত ফল হিসেবে আমরা দেখি খন্দকার মুনীরুজ্জামান বিপুলভাবে সামাজিক, বহু ধরনের মানুষের সাথে তাঁর নিবিড় সংযোগ এবং সবখানেই মুনীরুজ্জামান স্বচ্ছন্দ, স্বতঃস্ফূর্ত, অন্তরঙ্গ। নিজ জীবনেও তিনি পালন করেছেন নানা ভূমিকা। তাঁর কর্মজীবনের বড় সময় কেটেছে সাম্যবাদী রাজনীতির প্রতি আনুগত্য ও পেশার প্রতি অনাগ্রহ নিয়ে, পরে যখন সাংবাদিকতাকে অবলম্বন করলেন, মধ্যবয়সে এমন পেশাবদল আমাদের দেশে দুর্লভ, সেখানেও মুনীরুজ্জামান দ্রুতই জাতীয়ভাবে নিজের জন্য আলাদা জায়গা করে নিলেন্ এমন একজন মানুষ করোনা সংক্রমণে আকস্মিকভাবে আমাদের মধ্য থেকে অকালে চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন মানবিক কৃতিকর্মের উজ্জ্বল স্বাক্ষর। বর্তমান স্মরক গ্রন্থ মুনীরুজ্জামানের জীবনধারার গুরুত্ব ও অবদান কিছুটা হলেও যদি মেলে ধরতে পারে তবে সেখানেই এর সার্থকতা। আশা করব মুক্তিসংগ্রামীর অবদান বিচারের ধারা বহমান থাকবে আরও অনেকের অনেক ধরনের কাজের মধ্য দিয়ে।
Title
জীবন নিবেদিত মুক্তির সংগ্রামে মুনীরুজ্জামান স্মারক গ্রন্থ