জন্ম দিলেই জনক হওয়া যায়, জলধি হওয়া যায় কি? জনক মানেই এক বিশাল জলধি। রাজন্যের প্রথম টিন বার্থডেতে স্পেশাল কিছু করতে চায় বাবা রিয়াজ, জিজ্ঞাসা করে, কী চায় জন্মদিনে। স্কুলের রোবটিকস ক্লাবের প্রজেক্টে রাজন্য গিয়েছিল একটি রিহ্যাব সেন্টারে। অসহায় মানুষদের দেখে, মনের পর্দায় ভেসে ওঠে, হুইল চেয়ারে বসা কিংবা ক্রাচবন্দি, আধা কাঁচা পাকা দাড়িতে ভাঙাচোরা একটি মুখ। রাজন্য বাবার কাছে চায় একটা প্রস্থেটিক লেগ। রিয়াজ কি পেরেছিল ছেলের ইচ্ছে পূরণ করতে? ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল রায়হান আর সুমি। কিন্তু ভালোবাসায় একটা ভালো বাসাও খুব জরুরি। কাগজের বন্ধনে জোর করে তাকে আটকে রাখা যায় না। আবার বিচ্ছেদ নামক কলমের এক খোঁচায় এত সহজেই কি সব শেষ হয়ে যায়? ভালোবাসা কি সত্যিই এত হিসেব মানে? তাহলে আজও জ্যোৎস্না দেখলে রায়হানের কেন অস্থির লাগে? রায়হানের সাথে ছেলের ছবি দেখে সুমির চোখে কেন জল জমে? রাজন্য, সুমি, রায়হান ও রিয়াজ... চার চরিত্র, এক অন্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়ে তৈরি করে এক চতুর্মাত্রিক পারিবারিক ও মনস্তাত্ত্বিক গল্প। দুরন্ত শৈশবের সরলতা, কৈশোরের আবিষ্কারের নেশা, যৌবনের অদম্য ভালোবাসা, সম্পর্কের জটিল সমীকরণ, আর সব ছাড়িয়ে আছে বাবা ও ছেলের অবিচ্ছেদ্য রসায়ন। আছে দুই জনকের জলধি হয়ে ওঠার গল্প। পেরেছিল কি তারা জলধি হয়ে উঠতে? যে জলধি জনক সেই তো জনক জলধি।