পিকনিকে গণিত পিকনিকে যাবে? বেশ তো, খুব খুশির কথা। তোমরা ভাবছ খাওয়া-দাওয়াটা তো পিকনিকের প্রধান অঙ্গ অবশ্যই, কিন্তু বাকি সময়টা, কি যাওয়া আসার পথে—কি পিকনিক স্পটে—কেমন করে কাটাবে। টেপে গান শুনে? দাবা-তাস-লুডো খেলে? সব পুরনো হয়ে গেছে। একটা-দুটো-তিনটে করে নাম মনে রেখে মেমরি-গেম, একটা গানের শেষ অক্ষর ধরে অন্য গানের শুরু করার খেলা, একটা জায়গার নামের শেষ অক্ষর দিয়ে অন্য জায়গার নাম—সবই তো অনেকবার করে খেলা হয়ে গেছে। সত্যজিৎ রায় মশাই থাকলে নতুন নতুন পিকনিক-গেম উদ্ভাবন করে দিতেন তোমাদের জন্য এবং আমাদের জন্যও, তাঁর সঙ্গে-সঙ্গে এ আশাও তো গেছে। তা হলে? তা হলে বলেই ফেলি। তোমাদের পিকনিকে অথবা যে কোনও অবসর কাটাবার জন্য আমি কিছু জাদুর ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি। ম্যাজিক শুনেই তোমরা ছুটে আসছ, বুঝতে পারছি। কিন্তু তোমাদের একটা ঘরে ঢুকিয়ে বন্ধ করে ফেলতে না পারলে আমার স্বস্তি নেই। কারণ জাদুর বিশেষণটি শুনলেই অনেকে উশখুশ করবে, পালাবার চেষ্টা করবে। এ জাদুর বিশেষণ গণিত অর্থাৎ গণিত জাদু। পাটিগণিত বা বীজগণিতের মতো আরেক গণিত—‘জাদুগণিত’। শোনো শোনো, একেবারে ভয় নেই। এতে ল.সা.গু – গ.সা.গু নেই, সুদ কষা-শতকরা নেই, ভগ্নাংশ-দশমিক নেই, শুধু সাধারণ যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের সাহায্যে নানান জাদু। একটুখানি বসো না। ভাল না লাগলে খিল খুলে দৌড়ও যদি, আমি তোমাদের সঙ্গে দৌড়ের প্রতিযোগিতায় জিতে তোমাদের ধরে আনতে পারব না। তা হলে শুরু করি।