বিচারপতি কাজী মাহবুবুস সোবহান ১৯২৪ সালের ২৫ জুলাই পিতার কর্মস্থল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কৈথন গ্রামে। পিতা কাজী আবু সাঈদ ও মাতা খাতেমা খাতুনের সাত সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কলকাতার হেয়ার স্কুলে, পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫২ সালে বার এট ল ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন, ব্রিটেনের বিখ্যাত লিংকনস ইন থেকে। ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন ১৯৫৬ সালে। ১৯৭১ থেকে ’৮০ পর্যন্ত বিচারপতি কেএম সোবহান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ থেকে ’৮২ পর্যন্ত প্রাগ ও বার্লিনে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে যুদ্ধে নির্যাতিতা ও ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় নারী পূনর্বাসন বোর্ড। সেই বোর্ডের চেয়ারম্যানের গুরুদায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সোবহান ১৯৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক আন্দোলন-নেতৃত্বের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। '৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত গণআদালতের অন্যতম বিচারক তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে প্রথম সোচ্চার কণ্ঠস্বর ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’র সভাপতি তিনি।