বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতা তত্ত¡ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কৌতুক করে বলেছিলেন, আপনার হাত গরম উনুনের ওপর এক মিনিট রাখুন, দেখবেন এক ঘন্টা মনে হবে। সুন্দরী একটা মেয়ের পাশে এক ঘন্টা ধরে বসে থাকুন, মনে হবে মাত্র এক মিনিট বসেছেন। ফেসবুকে বসলে আমাদের আর সময়জ্ঞান থাকে না, এ এক অমোঘ সত্য। আমরা অল্প কিছুক্ষণের জন্য ফেসবুকে থাকব মনে করলেও নিজেদের অজান্তেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ফেসবুকে ব্যয় করি। কখনো নিউজফিডে অলস স্ক্রলিং আবার কখনো অপরিচিত ব্যক্তির প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা (ঝঃধষশরহম)- এসব কাজেই আমাদের মূল্যবান সময় অপচয় হয়। এছাড়া রয়েছে চ্যাটিংয়ের ব্যবস্থা। অপরিচিত ব্যক্তির সাথে পরিচয় হতে বাস্তবে অনেকেই অপছন্দ করলেও ভার্চুয়াল দুনিয়ায় তাতে মোটামুটি সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কারণ এখানে দায়বদ্ধতার বালাই নেই। সোজা কথায়, ফেসবুক আমাদের সময় ‘খেয়ে নেয়’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কল্যাণে আমরা এখন দুটো আলাদা জগতে আলাদা সত্তা ধারণ করে বাস করছি। একটা আমাদের বাস্তবের দুনিয়া, আরেকটা হচ্ছে তথাকথিত ভার্চুয়াল দুনিয়া। বর্তমানে প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীই ভার্চুয়াল জগতে আরেকটি স্বতন্ত্র সত্তা ধারণ করেন। আর এই স্বাতন্ত্র এতটাই যে অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবতার সাথে তার বিন্দুবিসর্গ মিলও থাকে না। এই মাধ্যমগুলোর প্রতিটি প্রোফাইলই একেকটি আলাদা সত্তার বিমূর্ত রূপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক খুবই জনপ্রিয়। ফেসবুক শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই না। তা এখন নিউজ জানা ও বিনোদনের মাধ্যম। তবে সব সময় কি ফেসবুক বিনোদনের মাধ্যম? ফেসবুকের কারণে অনেক সময় আপনার মানসিক চাপও বাড়াতে পারে। আবার ফেসবুকের কারণে আপনি অনেক ভালো থাকতে পারেন। এর সবটাই নির্ভর করছে আপনি ফেসবুককে কিভাবে ব্যবহার করবেন তার উপর। আমাদের লেখক তার প্রতিদিনের অনুভূতিগুলোকে ফেসবুকে লিখে রেখে একটি নতুন দ্বিগন্ত সৃষ্টির চেষ্টার করেছেন।