বেলা এগারোটার খানিক আগে গাড়ি নিয়ে বের হলো এরিকা। বাইরে তুষার আস্তরণের পুরুত্ব আরও বেড়েছে। চারপাশে দোকানপাট সব বন্ধ। পুরো শহর যেন আজ বেলা করে ঘুমুচ্ছে। বাড়ির বাইরে কয়েকটা বাচ্চা বরফ ছোঁড়াছুঁড়ি খেলায় ব্যস্ত। ক্রফটন পার্ক ট্রেন স্টেশনের পাশে দোকানের সারিগুলো পেরিয়ে যেতেই একটু একটু করে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এমনিতেই ভারি তুষারপাতের মাঝে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করা একটু কঠিন। তার ওপর অনাকাক্সিক্ষতভাবে জ্যাম বেঁধে যাওয়ায় চলার গতি কমতে কমতে একটা পর্যায়ে এসে থেমেই গেল। এদিকে শুকনো তুষার সরিয়ে উইন্ডস্ক্রিন পরিষ্কার করতে থাকা ওয়াইপারগুলো প্রতিমুহূর্তে তীব্র স্বরে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে। খানিকদূরে পুলিশ লাইটের নীল আলো দেখা গেল। বর্ণহীন ফ্যাকাসে উদাস সকাল পেরিয়ে সেই নীলচে আভা দেখে হুট করেই এরিকার মনটা ভালো হয়ে গেল। ধীরে ধীরে এগোচ্ছে যানবাহনের স্রোত। ক্রফটন পার্ক স্কুলের পর বাম দিকে নেমে যাওয়া রাস্তাটা আটকে রেখেছে পুলিশের হলুদ টেপ। সামনেই দাঁড়িয়ে আছে দুটো পুলিশ স্কোয়াড কার। বাতাসে দুলতে থাকা টেপের পাশে দাঁড়িয়ে দু’জন অফিসারের সঙ্গে কথা বলছে ডিটেকটিভ কনস্টেবল জন ম্যাকগোরি। গাড়ি নিয়ে কাছাকাছি আসতেই এরিকা হর্ন বাজাল। শব্দ শুনে তারা ঘুরে তাকাতেই জানালার কাঁচ নামিয়ে সে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে?’